বাংলা হান্ট ডেস্ক : সকাল সকাল দরিয়াপুর বাইসি হাই মাদ্রাসা (Dariyapur Baisi High Madrasha) চত্বরে ধুন্ধুমার কাণ্ড। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কালিয়াচক (Kaliachak) থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, পরীক্ষার সময় এক ছাত্রীকে প্রায় সমস্ত পোশাক খুলিয়ে তল্লাশি চালানোর নির্দেশ দেয় মাদ্রাসার এক শিক্ষক। আর তাতেই শুরু হয়ে যায় ঝামেলা। শিক্ষক-পরীক্ষার্থীদের এই ঝামেলা রীতিমত যুদ্ধের আকার ধারণ করে।
পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, কেবল পোশাক খুলিয়ে তল্লাশি করেই ক্ষান্ত থাকেননি ঐ শিক্ষক। তিনি নাকি ছাত্রীদের ধাক্কাও দিয়েছেন। পরীক্ষা চলাকালীন ছাত্রছাত্রীরা শৌচালয়ে যেতে চাইলে তিনি সেখানেও বাধা দিয়েছেন। আর এইসব নানা কারণেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বাইসি হাই মাদ্রাসার ছাত্রীরা।
যদিও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাদের দাবি, কোনোকিছুই নিয়মের বাইরে হয়নি। সমস্ত কিছুই নিয়ম মেনেই করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীরা যাতে পরীক্ষায় নকল করতে না পারে, বা কেউ যাতে কোনও ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে না পারে তার জন্যই এই বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ।
মাদ্রাসার দাবি, সরকারের নির্দেশ মেনেই তল্লাশি কড়াকড়ি করা হয়েছিল তবে ‘অশোভন তল্লাশি’র অভিযোগ সবটাই মিথ্যা বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সমস্ত চেকিং হয়েছে মেটাল ডিটেক্টর দিয়েই। এদিকে বিক্ষোভকারী ছাত্রীরা দাবি করেছে, তাদের শরীরের যেখানে সেখানে হাত দেওয়া হয়েছে। এবং এই সবটাই নাকি করেছে মাদ্রাসার শিক্ষকরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিনটাই উত্তপ্ত হয়েছিল মালদার কালিয়াচক।
পরীক্ষার্থীদের এই অভিযোগের পর দরিয়াপুর বাইসি হাই মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আসিফ রহমান দাবি করেন, এইসমস্ত অভিযোগ মিথ্যা। মূলত নকল করতে না পেয়েই এইসব অভিযোগ আনা হয়েছে। এমনকি মাদ্রাসার মধ্যে ভাঙচুর চালানোরও অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।