বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মারণ ভাইরাস করোনার জেরে সারা বিশ্ব তোলপাড়। এর জেরে দেশজুড়ে শুরু হয়েছিল লকডাউন। আর তাতে কাজ হারিয়েছেন অনেক মানুষ। দেশজুড়ে বেড়েছে বেকারত্ব। তবে বাংলায় সেই বেকারত্বের হার অনেকটাই কম বলে দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee)। নিজের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমির (CMIE) পরিসংখ্যান তুলে ধরে বিজেপিশাসিত উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানাকেও বিঁধেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
We've implemented a robust economic strategy to tackle #COVID19 & the devastation caused by Amphan. Proof lies in West Bengal's Unemployment Rate for the month of June 2020 which stands at 6.5%, far better than that of India at 11%, UP at 9.6% & Haryana at 33.6%, as per CMIE.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) July 4, 2020
সম্প্রতি, জুন মাসে কোন রাজ্যে কত বেকারত্ব তার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনামি তথা সিএমআইই। শনিবার মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে লেখেন, “সিএমআইই-র রিপোর্ট অনুযায়ী জুন মাসে বাংলায় বেকারত্বের হার ৬.৫ শতাংশ। আর সারা দেশের গড় ১১ শতাংশ। সারা দেশের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গ অনেক ভাল জায়গায় রয়েছে।”
লকডাউনে বন্ধ হয়েছে বহু সংস্থা। আবার বহু মানুষ ভিন রাজ্যের কাজ ছেড়ে ঘরে ফিরে এসেছেন। ফলে দেশজুড়ে বেড়েছে বেকারত্ব। জুন মাসে কোন রাজ্যে কত বেকারত্ব (Unemployment) তার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি তথা সিএমআইই (CMIE)।
শনিবার নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “সিএমআইই’র রিপোর্ট অনুযায়ী জুন মাসে বাংলায় বেকারত্বের হার ৬.৫ শতাংশ। আর সারা দেশের গড় ১১ শতাংশ। সারা দেশের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গ অনেক ভাল জায়গায় রয়েছে।” একইসঙ্গে সেই পরিসংখ্যান তুলে ধরে উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) ও হরিয়ানাকে কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আরও লিখেছেন, করোনা সংক্রমণের ফলে তৈরি হওয়া সংকট এবং উপরন্তু ঘূর্ণিঝড় আমফান-এই দুইয়ের মোকাবিলায় রাজ্য সরকার যে বলিষ্ঠ অর্থনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছে এটা তারই ফল।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ফলে তৈরি হওয়া সংকট এবং তার উপরে আছড়ে পড়া ঘূর্ণিঝড় আমফান—এই দুইয়ের মোকাবিলায় রাজ্য সরকার যে বলিষ্ঠ অর্থনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছে এটা তারই ফল।
যদিও বিজেপি বলছে আষাঢ়ে গল্প বলছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী চপ ভাজা, মুড়ি ভাজাকেও শিল্পের পর্যায়ে ধরেন। সেই হিসেব দিয়েই গোঁজামিল দিতে চাইছেন। বাংলার মানুষ জানেন রাজ্যে কর্মসংস্থানের কী হাল।” তিনি আরও বলেন, “এই কোভিড পরিস্থিতি তৈরি না হলে লোকে জানতই না যে, বাংলার ১৫ লক্ষ মানুষ নিজের রাজ্যে কাজের সুযোগ না পেয়ে বাইরের রাজ্যে কাজ করতে গিয়েছেন।”
সিএমআইই’র রিপোর্ট বলছে, জুন মাসে যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশে বেকারত্বের হার ৯.৬ শতাংশ। আর দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেকারত্ব মনোহরলাল খাট্টার শাসিত হরিয়ানায়। সেখানে জুন মাসে বেকারত্ব ৩৩.৬ শতাংশ। অর্থাৎ ১০০ জনের মধ্যে ৩৩ জনের বেশি মানুষের হাতে কোনও কাজ নেই।
রিপোর্ট অনুযায়ী, বেকারত্বে উত্তরপ্রদেশকে টেক্কা দিয়েছে পাঞ্জাব, ছত্তিশগড় ও রাজস্থান। কিন্তু তিনটি রাজ্যর উল্লেখ নেই মুখ্যমন্ত্রীর টুইটে। এমনকী, বামশাসিত কেরলের বেকারত্ব নিয়েও কোনও কথা বলেননি মুখ্যমন্ত্রী। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তার পিছনে বিশেষ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।।