বাংলাহান্ট ডেস্ক : করোনা মহামারীর পর সারা বিশ্বজুড়ে দেখা দিয়েছে আর্থিক মন্দা। এর ফলে বিভিন্ন কোম্পানির ছাঁটাই করতে বাধ্য হয়েছে তাদের অসংখ্য কর্মীকে। সারা পৃথিবীর মতো করোনা মহামারী প্রভাব পড়েছে ভারতেও। গত দু’বছর ধরে লকডাউনের জেরে বেসরকারি ক্ষেত্রে ব্যাপক হারে কর্মী ছাঁটাই করেছে বিভিন্ন সংস্থা। এরফলে সারা দেশেই ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে বেকারত্ব। কিন্তু এবার কিছুটা হলেও আশার কথা শোনালো ইকোনমিক থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি (CMIE) । সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি (CMIE) একটি রিপোর্টে জুন মাসে তীব্র বেকারত্বের পর জুলাইয়ে কিছুটা হলেও উন্নতির আভাস দিয়েছে।
সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি (CMIE) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ১৪ই জুলাই এর পর সারা দেশে কিছুটা হলেও কর্মসংস্থানের উন্নতি হয়েছে। জুন মাসের তুলনায় জুলাই মাসে সারাদেশে সামগ্রিকভাবে এক শতাংশ বেড়েছে কর্মসংস্থান।
১৪ ই জুলাই সারাদেশে বেকারত্বের হার ছিল ৭.২৯ শতাংশ। যেখানে এই বছর জুন মাসে বেকারত্বের হারের পরিমাণ ছিল ৭.৮০ শতাংশ। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি (CMIE) তথ্য অনুযায়ী শহরাঞ্চলে বেকারত্ব ছুঁয়েছিল ৭.৩০ শতাংশে ও গ্রামাঞ্চলে এই পরিমাণটা ৮.০৩ শতাংশ।
CMIE জানিয়েছে জুন মাসে সারা দেশে বেকারত্বের হার খুবই হতাশাজনক লক্ষ্য করা গেছে। ২০২২ সালের মে মাসে কর্মসংস্থানের পরিমাণ ৪০.৪ কোটি থেকে জুন মাসে ৩৯ কোটিতে নেমে এসেছিল। তথ্য অনুযায়ী সারাদেশে মে মাস থেকে জুন মাসের মধ্যে প্রায় দেড় কোটি মানুষ কাজ হারিয়েছিলেন।
CMIE এর তথ্য অনুযায়ী শুধু জুন মাসে ২৫ লক্ষ বেতন ভোগীর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে সারা ভারতে। বর্তমান জুলাই মাসে সারাদেশে বেকারত্বের হার জুন মাসের ৭.৮ শতাংশ থেকে কমে এসে দাঁড়িয়েছে ৬.৯ শতাংশে। অর্থাৎ প্রায় এক শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে কর্মসংস্থান।
তথ্য অনুযায়ী, কর্মসংস্থানের হারে দেশের তুলনায় কিছুটা ভাল অবস্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। জুন মাসের তুলনায় জুলাইতে এ রাজ্যে কর্মসংস্থানের হার ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।