বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কিছু সময় ধরে শিরোনামে রয়েছে NEET বিতর্ক। চিকিৎসক হওয়ার এই যোগ্যতা পরীক্ষা ঘিরে উঠেছে একাধিক অভিযোগ। প্রশ্নপত্র ফাঁস থেকে পরীক্ষায় স্বচ্ছতা, একাধিক বিষয় নিয়ে উঠেছে প্রতিবাদের সুর। এই আবহে এবার এই ইস্যু নিয়ে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan)।
ইতিমধ্যেই NEET বিতর্কের জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) অবধি। ন্যাশানাল টেস্টিং এজেন্সির (NTA) তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ১৫৬৩ জন পরীক্ষার্থী যাদের বাড়তি নম্বর তথা গ্রেস মার্কর্স দেওয়া হয়েছিল, সেগুলি বাতিল করা হবে। সেই সঙ্গেই জানানো হয়েছে, পুনরায় পরীক্ষায় (NEET Examination 2024) বসার সুযোগ দেওয়ার কথা। তবে তা সত্ত্বেও দুর্নীতির অভিযোগ কিন্তু ধামাচাপা পড়ছে না। এখনও দেশের নানান অংশ থেকে উঠছে প্রতিবাদের সুর।
এই আবহে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বললেন, ‘উদ্বিগ্ন অথবা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এখনও প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার কোনও প্রমাণ মেলেনি। কয়েকটি অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখছে। তদন্ত শেষ হওয়া অবধি অপেক্ষা করা উচিত। আগামী ৮ জুলাই রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট। ততদিন অবধি আমরা অপেক্ষা করি। কোনও কিছু লুকনোর নেই’।
আরও পড়ুনঃ বিয়ের বদলে পড়াশোনা, ছাত্রীর ওপর পড়ল ছুরির কোপ! মামলা উঠতেই বিরাট নির্দেশ হাই কোর্টের
প্রত্যেক বছর অগুনতি ছাত্রছাত্রী NEET পরীক্ষায় বসে। এবার এত বড় মাপের পরীক্ষা যদি বাতিল করা হয় তাহলে তার প্রভাবও প্রচুর হবে। এর ব্যাখ্যা দিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘দেশ এবং দেশের বাইরে মিলিয়ে ৪৭০০-রও বেশি সেন্টারে ২৩ লক্ষের বেশি পরীক্ষার্থী NEET পরীক্ষা দিয়েছে। ১৩টি ভাষায় পরীক্ষা হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট দু’টি সেন্টার নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। কোনও দুর্নীতি হয়ে থাকলে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। ছাত্রছাত্রীদের উদ্বিগ্ন অথবা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সুপ্রিম কোর্টও এই নিয়ে রায় দিয়েছে। বিভ্রান্তি থাকার কথা নয়’।
NEET বিতর্কের মাঝেই NTA-র তরফ থেকে পুনরায় পরীক্ষায় বসার কথা বলা হয়েছে। এই বিষয়ে ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, ‘যারা ফের পরীক্ষা দিতে চান, তাঁরা নির্দিষ্ট ৬টি সেন্টারে ফের পরীক্ষা দিতে পারবেন। পরীক্ষার্থীরা উত্তর লেখার জন্য যথেষ্ট সময় পাননি এমন অভিযোগ উঠেছিল’।