বাংলাহান্ট ডেস্ক: আদানি গ্রুপে সরকারি বিমা সংস্থা এলআইসি-র কত অর্থ বিনিয়োগ ছিল তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষত হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট পেশের পর এই প্রশ্ন একাধিক বার উঠেছিল। কারণ এক শ্রেণির মানুষের মনে হয়েছিল যে আদানি গ্রুপ এ বার ডুবে যেতে চলেছে। এ বিষয়ে সোমবার খোলসা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman)।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এ দিন জানান, বিগত ৩ মাসে আদানি গ্রুপকে দেওয়া এলআইসি-র ঋণের পরিমাণ ক্রমশ কমে গিয়েছে। লোকসভায় একটি লিখিত জবাব জমা দেন নির্মলা। সেখানে তিনি জানান, আদানি গ্রুপকে (Adani Group) ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সাল অনুযায়ী ৬৩৪৭ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছিল এলআইসি। কিন্তু ৫ মার্চের রিপোর্ট অনুসারে, এই ঋণের পরিমাণ ৬১৮৩ কোটি টাকায় নেমে এসেছে।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, সবচেয়ে বেশি ঋণ রয়েছে আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন সংস্থার। প্রায় ৫৩৮৮ কোটি টাকার ঋণ রয়েছে তাদের। একইসঙ্গে আদানি পাওয়ার মুন্দ্রার রয়েছে ২৬৬ কোটি টাকা ঋণ। আদানি পাওয়ার মহারাষ্ট্র লিমিটেড ফেজ ১-এর কাছে রয়েছে প্রায় ৮১ কোটি টাকা ঋণ। আদানি পাওয়ার মহারাষ্ট্র লিমিটেড ফেজ ৩-এর রয়েছে প্রায় ২৫৪ কোটি টাকা ঋণ।
একইসঙ্গে রায়পুর এনারজেন লিমিটেডের প্রায় ১৪৫ কোটি টাকার ঋণ রয়েছে। রায়গড় এনার্জি জেনারেশন লিমিটেডের কাছে রয়েছে ৪৫ কোটি টাকার ঋণ। এ দিন নির্মলা সীতারমন আরও বলেন, পাঁচটি সরকারি বিমা সংস্থা আদানি গ্রুপের কোনও সংস্থাকেই কোনও ঋণ দেয়নি। এই পরিস্থিতিতে তিনি সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করেছেন যে তাঁদের অর্থ খোয়া যাওয়ার ভয় নেই। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানান, আদানি গ্রুপকে অনেক কিছু দেখেই ঋণ দিয়েছে সরকারি ব্যাঙ্কগুলি।
প্রকল্পগুলির কার্যকারিতা, নগদ প্রবাহের অনুমান, ঝুঁকি ইত্যাদির মতো বিষয়গুলি বিবেচনা করে আদানি গ্রুপকে ঋণ দেওয়া হয়েছে। শেষ কয়েক সপ্তাহে কার্যত ধস নেমেছিল আদানির শেয়ারে। তাই এই সময় এই সংস্থাগুলিতে এলআইসির বিনিয়োগের মূল্য নেতিবাচক হয়ে গিয়েছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে গ্রুপটির শেয়ারের দাম বেড়েছে। এর ফলে এলআইসির বিনিয়োগ মূল্য আবারও বেড়েছে। আদানি গ্রুপের তালিকাভুক্ত সাতটি কোম্পানিতে এলআইসির বিনিয়োগ রয়েছে।