চেনাই মুশকিল! গায়ে ব্লেজার, গলায় স্কার্ফ বেঁধে র‌্যাম্প ওয়াক! সব্বাইকে চমকে দিলেন সুকান্ত

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আপাদমস্তক স্যুটেট-বুটেট হয়ে দিব্যি করছেন র‌্যাম্প ওয়াক। এক ঝলক দেখে মনে হতেই পারে কোনো প্রফেশনাল মডেল। কিন্তু তা নয় একেবারেই। হাঁটা চলায় পেশাদারিত্বের ছাপ থাকলেও ইনি আসলে সকলের পরিচিত বঙ্গ বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন তাঁর সাথেই ছিলেন আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (Jyotiraditya Scindia)।

র‌্যাম্পে হাঁটছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)

দুজনেই এদিন  উত্তর-পূর্ব ভারতের ঐতিহ্যবাহী স্টাইলের জ্যাকেট পরে হাঁটলেন ব়্যাম্পে। সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) পরনে ছিল রুপোলি সুতোর কাজ করা অফ হোয়াইট রঙের ব্লেজার। আর সেইসাথে গলায় ঝুলছিল লাল রঙের লম্বা স্কার্ফ। আর জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া পরেছিলেন অফ হোয়াইটের সাথে কালো আর গোল্ডেন মেশানো জরির কাজ করা জ্যাকেট। তাঁর গলাতেও লালচে ধরনের একটি স্কার্ফ।

প্রসঙ্গত বঙ্গ বিজেপির সভাপতি থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, এক ধাক্কায় দলের মধ্যে বিরাট কদর বেড়েছে বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar)। কাজেই কাঁধে তাঁর বিরাট দায়িত্বের বোঝা। তবে শত ব্যস্ততার মধ্যেই এদিন র‌্যাম্প ওয়াক করে সব্বাইকে একেবারে চমকে দিয়েছেন তিনি।

নয়া দিল্লির ভারত মণ্ডপমে অষ্টলক্ষ্মী মহোৎসবের অংশ ছিল এই ফ্যাশন শো। শুক্রবারেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেছিলেন। সেখানেই এদিন পাশাপাশি র‌্যাম্প ওয়াক করলেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সেই অনুষ্ঠানে সামিল হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় র‌্যাম্পে হাঁটার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।

আরও পড়ুন: কবে কবে ছুটি পাচ্ছেন সরকারি কর্মচারীরা? আগেভাগে দেখুন তালিকা

উত্তর-পূর্বাঞ্চলের যোগাযোগ ও উন্নয়ন মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এদিন জানিয়েছেন, ‘সত্যিই এটা সংস্কৃতি ও উদ্ভাবনের উদযাপন। উত্তর-পূর্ব ভারতের স্টাইলকে তুলে ধরা এই ফ্যাশন শোয়ে দারুণ সময় কাটল। প্রতিটি রাজ্যকে সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন শিল্পী ও মডেলরা। আমার সহকর্মী সুকান্ত মজুদারজীর সঙ্গে এই অনুষ্ঠানে সামিল হতে পেরে গর্বিত।’

Sukanta Majumder

আসলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আটটি রাজ্য অসম, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয়, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, ত্রিপুরা এবং সিকিমকে প্রায়শই ‘অষ্টলক্ষ্মী’ বা সমৃদ্ধির আটটি রূপ হিসাবে উল্লেখ করা হয়। ভারতের সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে এই রাজ্যগুলির।

অষ্টলক্ষ্মী মহোৎসবে প্রত্যেক রাজ্যের জন্যই  নির্দিষ্ট প্যাভিলিয়ন আছে। বিনিয়োগকারীদের সেই সব রাজ্যে আকৃষ্ট করতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ইভেন্টেরও আয়োজন করা হয়েছে।

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর