বাংলাহান্ট ডেস্ক : মানুষ বা যেকোনো প্রাণীর বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন হয় খাদ্যের। সেই খাদ্য কখনো সরাসরি মেলে প্রকৃতি থেকে, আবার কখনো কখনো নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী রান্না করে গ্রহণ করতে হয় কিছু খাদ্য। তবে জানলে অবাক হবেন শুধু পৃথিবীতে নয়, রান্নাবান্না হয় মহাকাশেও (Space)। নিশ্চই ভাবছেন মহাকাশে আবার কারা মানুষের মতো রান্না করতে যাবে?
মহাকাশ (Space) নিয়ে অজানা তথ্য
যুগ যুগ ধরে মহাকাশ (Space) নিয়ে রহস্য ঘণীভূত হয়েছে মানুষের মনে। মহাকাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য গ্রহ-নক্ষত্র নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। মহাকাশ বিজ্ঞানীরাও ক্রমাগত গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন মহাকাশের রহস্য সন্ধানের উদ্দেশ্যে। এবার সেই রহস্য উন্মোচনের অংশ হিসাবে উঠে এল চমকপ্রদ তথ্য।
আরোও পড়ুন : ১ লক্ষ টাকা! কপাল খুলল রাজ্যের সিভিক ভলেন্টিয়ারদের, বড় পদক্ষেপ নবান্নের
নাসার চন্দ্র এক্স-রে অবজারভেটরি এমন চমকপ্রদ তথ্য দিয়েছে যা জানতে পেরে বিজ্ঞানীদেরও অবাক হতে হয়েছে। লক্ষ লক্ষ গ্রহ-নক্ষত্রের মতোই ব্রহ্মাণ্ডে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাক হোল। চন্দ্র মানমন্দির যে তথ্য দিয়েছে তা বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা বলছেন, নিজেদের খাবার এই কৃষ্ণগহ্বরগুলি নিজেরাই তৈরি করে নেয়।
ব্রহ্মাণ্ডের কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাক হোল (Black Hole) নিজেরাই নিজেদের খাদ্য তৈরি করে, আবার নিজেরাই সেই খাদ্য গ্রহণ করে। মানুষ্য খাদ্য অবশ্য স্বাভাবিকভাবেই কৃষ্ণগহ্বর তৈরি করে না। তারা নিজেদের মতো খাদ্য গ্যাসের উত্তাপ হ্রাস করে তৈরি করে ফেলতে পারে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।
আরোও পড়ুন : বিয়ের ১০ দিন পরেই ফের বাজল সানাই, রেশ কাটতে না কাটতেই দ্বিতীয় বার বরবেশে জনপ্রিয় সিরিয়ালের নায়ক!
সেভেন ক্লাস্টারস অফ গ্যালাক্সিস পর্যবেক্ষণ করে জানা গেছে, গ্যাসীয় ফিলামেন্টকে ক্রমশ ঠান্ডা করে কৃষ্ণগহ্বরগুলি। সেই ঠান্ডা গ্যাসের স্রোত কৃষ্ণগহ্বরের দিকে ছুটতে থাকে নক্ষত্রমণ্ডলীর মধ্য বরাবর হয়ে। এই প্রক্রিয়ার ফলে সৃষ্টি হয় এক ধরনের বিস্ফোরণের। সেই বিস্ফোরণের ফলে যে গ্যাস উৎপন্ন হয় সেটিই ঢুকে যায় কৃষ্ণগহ্বরের পেটে।
এই স্রোতের ফলে আবার তৈরি হয় বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের ফলে ফের নতুন ভাবে তৈরি হয় খাবার।বিজ্ঞানীরা (Scientist) জানাচ্ছেন, এই প্রক্রিয়া ক্রমাগত চলতেই থাকে কৃষ্ণগহ্বরে। এই ভাবেই নিজেদের খাবার নিজেরাই উৎপন্ন করে ফেলতে পারে ব্রহ্মাণ্ডে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাক হোলগুলি (Black Hole)।