নারীর সাজে আরতি করেন প্রধান পুরোহিত! ভারতের এই প্রাচীন মন্দিরকে ঘিরে আছে অজানা রহস্য

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বদ্রীনাথধাম (Badrinath Temple) ভারতের অন্যতম প্রাচীন ও প্রসিদ্ধ তীর্থভূমি। বদ্রিনাথ মন্দির উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) চারধামের অন্যতম একটি অংশ। এই মন্দিরটি অবস্থিত উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার গাঢ়ওয়াল অঞ্চলে। এই মন্দিরের এমন অনেক রীতিনীতি রয়েছে যা অনেকের কাছেই অজানা।

মার্চ-এপ্রিল মাসে এই মন্দিরের প্রধান দরজা খোলা হয়। অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মধ্যে শীতকাল এলেই বন্ধ করে দেওয়া হয় মন্দিরের দরজা। ২৭ এপ্রিল সকাল ৭টা ১০ মিনিটে এই বছর খোলা হয়েছিল মন্দিরের দরজা। ভগবান বিষ্ণুর প্রকাণ্ড মূর্তি দেখা যায় এই মন্দিরে। প্রাচীন শাস্ত্র ও পুরাণেও এই মন্দিরের উল্লেখ পাওয়া যায়। বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনী জড়িত এই মন্দিরের সাথে।

এছাড়াও এই মন্দিরের বিভিন্ন প্রথা ও রীতিনীতি রয়েছে। এই মন্দিরের দরজা বন্ধ করার প্রক্রিয়া একটু অন্যরকম। এই কাজটি প্রায় পাঁচ দিন ধরে হয়ে থাকে। বিভিন্ন রীতিনীতি পালন করা হয় এই পাঁচ দিন। এগুলি অনেকের কাছেই অজানা। ভগবান গণেশ, আদি কেদার, খড়্গ পুস্তক ও মহালক্ষ্মীর পূজা হয় বদ্রিনাথের মন্দিরে।

গণেশ পুজো ও আরতি করা হয় প্রথমে। এরপর বদ্রিনাথের গর্ভ গৃহে প্রতিষ্ঠা করা হয় ভগবান গণেশের মূর্তি।গণেশ মন্দিরের দরজা তারপর বন্ধ করা হয়। তারপর আদি কেদারের মন্দিরের দরজা বন্ধ করা হয়। এরপর খড়গ পুস্তক পুজো করা হয়। ৫ দিন ধরে চলে এই গোটা প্রক্রিয়াটি। পুজোর শেষ দিন অর্থাৎ পাঁচ দিনের দিন পুরুষ পুরোহিত মহিলার বেশ ধারণ করেন।

সম্পূর্ণ মহিলার মেকআপে সেজে তিনি পুজোয় বসেন। পুরুষ পুরোহিতের নারী বেশ ধারনের পিছনেও একটি কথা শোনা যায়। বলা হয় প্রধান পুরোহিত দেবী লক্ষীকে পূজার পর তুলে নিয়ে গিয়ে বিষ্ণুর কাছে রেখে আসেন। লোকমতে, বিষ্ণু শ্রীকৃষ্ণের শৈশবের খুব কাছের বন্ধু ছিলেন। দেবী লক্ষ্মীর বড় ভাই হিসেবেও মানা হয় শ্রীকৃষ্ণকে।

badrinath dham1 1

হিন্দু রীতি অনুযায়ী, শ্বশুর বাড়ির দরজার সামনে কখনো পুত্রবধূ দাঁড়ায়নি। তাই উদ্ধবজি মন্দির থেকে বের হওয়ার পরই মন্দিরে বসেন দেবী লক্ষী। আলাদা ভাবে স্থাপন করা হয় লক্ষী দেবীর পালকি। অন্য দেবতাদের স্পর্শ থেকে বাঁচাতে দেবী লক্ষীকে আলাদা পালকিতে নিয়ে যাওয়া হয়। তাই মন্দিরের পুরুষ পুরোহিতেরা নারী বেশে লক্ষ্মীর সখীদের ভূমিকা পালন করেন।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর