বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দুবাইয়ের (Dubai) শাসক শেখ মোহম্মদ বিন রাশিদ আল মাখতুমের (Mohammed bin Rashid Al Maktoum) ছয় নম্বর স্ত্রী রাজকুমারি হয়া বিন হুসেইনকে (Haya bint Hussein) নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, রাজকুমারির ওনার ব্রিটিশ বডিগার্ডের সাথে অ্যাফেয়ার্স ছিল। আর উনি এই কথা লোকানোর জন্য বডিগার্ডকে ১২ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। এছাড়াও দামি দামি গিফটও দিয়েছিলেন। ৫০ লক্ষ টাকা দামের একটি বন্দুক আর ১২ লক্ষ টাকা দামের একটি ঘড়িও ছিল সেই উপহারে।
দুবাইয়ের শাসক ফেব্রুয়ারি ২০১৯ এ কিছু না বলেই রাজকুমারীকে তালাক দিয়ে দেন। ডেইলি মেইলের একটি খবর অনুযায়ী, রাজকুমারীর বডিগার্ডের সাথে অ্যাফেয়ার্স থাকার কারণেই এই তালাক দেওয়া হয়। এরপর রাজকুমারী ব্রিটেনে চলে যান আর এখন সেখানেই থাকছেন। শোনা যাচ্ছে যে, দুজনের মধ্যে অ্যাফেয়ার্স ২০১৬ সালে হয়েছিল। এরপর ওই যুবক রাজকুমারীর জন্য বডিগার্ডের কাজ করা শুরু করে দেয়। ৪৬ সালে রাজকুমারী ৩৭ বছরের বডিগার্ড রাসেল ফ্লাওয়ারের দুই বছর রিলেশনে ছিলেন।
ডেইলি মেইলের খবর অনুযায়ী, রাজকুমারী আরও তিন বডিগার্ডকে চুপ থাকার জন্য কোটি কোটি টাকা দিয়েছিলেন। বডিগার্ড রাসেলের স্ত্রীর এক ঘনিষ্ঠ অনুযায়ী, রাসেলের স্ত্রীর মতে ওনার স্বামীকে কোটি কোটি টাকা আর দামি উপহার দিয়ে ফাঁসানো হচ্ছে।
রাজকুমারী যেখানেই যেতেন, সেখানে ওনার সাথে ওনার বডিগার্ড যেত। রাসেলকে জন্মদিনে রোলেক্সের মতো ঘড়িও উপহার দেওয়া হয়েছিল। বডিগার্ডের স্ত্রী দেখেন যে, স্বামী বাড়ি ফেরার পর ঘণ্টার পর ঘণ্টা কারোর সাথে ফোনে ব্যস্ত থাকত। এরপর তাঁর স্ত্রীও সন্দেহ করা শুরু করে। ২০১৬ এর শেষে তাঁর সন্দেহ প্রমাণিত হয়ে যায়।