বাংলাহান্ট ডেস্কঃ স্বাধীনতার সময়কাল থেকে নানাভাবে ভারতের (india) বিরুদ্ধে ছিল পশ্চিমী দেশ ব্রিটেন (United Kingdom)। শুরুর দিকে বিভিন্নভাবে পাকিস্তানকে সমর্থন করার পর, আজকের দিনে কিন্তু ভারতের পরম বন্ধুদের তালিকায় চলে এসেছে ব্রিটেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতকে সাহায্য করা এবং ভারতের থেকে সাহায্যও নিয়েছে ব্রিটেন।
ব্রিটেনে ভারতীয় এবং পাকিস্তানী নাগরিক প্রচুর সংখ্যায় বসবাস করেন। শুধু তাই নয়, ব্রিটেনের রাজনীতিতে তাদের হস্তক্ষেপ দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। সেই কারণে ব্রিটেনের পার্লামেন্টে একদল ভারত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সমর্থন করলেও, বিপক্ষ দল পাশে রয়েছে পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের।
ব্রিটেন স্থিত পাকিস্তানপন্থী সাংসদদের বেশ পসার রয়েছে রাজনীতিতে। তারা তাদের এলাকার ভোটের পাশাপাশি মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ক একজোট করতে পার্লামেন্টে ভারতীয়দের বিরুদ্ধাচারণ করে চলেছে। অনেক সময় এমনও হত, যে ভারতের কোন ঘটনা ভারতীয় সংসদে চর্চিত না হলেও, তা ব্রিটেনের পার্লামেন্টে অবশ্যই আলোচিত হবে। কিন্তু এই ঘটনার তীব্র বিরোধ করে ভারত।
ঠিক সেইমতই ভারতের কৃষি বিল নিয়ে প্রদর্শিত কৃষক আন্দোলনের বিষয়েও চর্চা হচ্ছে ব্রিটেনের পার্লামেন্টে। সেখানকার পাকিস্তান সমর্থকদের দাবি, ভারতের বিরুদ্ধে একটি নোটিশ জারি করে আলোচনা করুন ব্রিটিশ সরকার। কিন্তু তাদের সমস্তা আশায় জল ঢেলে দেয় ব্রিটেনের বরিস জনসন সরকার।
সংবাদ সূত্রের খবর, ভারতের সমর্থন করে ব্রিটেন মিনিস্টার অফ এশিয়ান ফরেন অফিস মিস্তার নিগেল অ্যাডামস কথায়, ভারতের কৃষি বিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন, তাদের আভ্যন্তরীণ সমস্যা। যা তারা নিজেরাই মিটিয়ে নিতে পারবে। সরকারের আইনের বিরুদ্ধাচারণ করার অধিকার থাকলেও, সেই বিরোধ প্রদর্শন যখন সীমা অতিক্রম করে যায়, তখন সরকার কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে। আর এই বিষয়ে ভারত কি পদক্ষেপ নেবে, সেটা তাদের আভ্যন্তরীণ বিষয়।