বাংলা হান্ট ডেস্ক : কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলন করে গোটা বিশ্বকে পথ দেখিয়েছে বাংলাদেশ। শেখ হাসিনার পতন এবং পলায়নের হাত ধরে বাংলাদেশে যে গণ-অভ্যুত্থান ঘটেছে সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থেকেছে গোটা বিশ্ব। এবার গোটা জুলাই আগস্ট মাস জুড়ে বাংলাদেশে যত মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে সেই সমস্ত ঘটনারই যথাযথ তদন্ত করার বার্তা দিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ।
বাংলাদেশের (Bangladesh) গণ অভ্যুথানে মৃত্যু নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রসংঘের
গত কয়েক মাসের মধ্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ব্যবস্থায় এসেছে আমূল পরিবর্তন। চাপে পড়েই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়েছিলেন শেখ হাসিনা। হাসিনা সরকারের পতনের পর সে দেশে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বর্তমানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে নিয়েছেন মহম্মদ ইউনুস।
গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার হাইকমিশনের ভল্কার তুর্ক। মঙ্গলবারেই দুদিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছিলেন তিনি। সেখান থেকেই বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানের সময় নিরীহ মানুষদের মর্মান্তিক মৃত্যু নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রতিটি মৃত্যুর যথাযথ তদন্ত করার বার্তা দিয়েছেন ভল্কার তুর্ক।
আরও পড়ুন : উৎসবের দিনেও চলল গুলি! যোগীরাজ্যে কুপিয়ে খুন সাংবাদিক, আহত BJP নেতা
সেই সাথে তিনি জানিয়েছেন রাষ্ট্র সংঘের তরফেও এই সমস্ত ঘটনা ও অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বুধবার ছিল তাঁর সফরের শেষ দিন। এদিন বাংলাদেশের রাজধানীর ঢাকাতেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেছেন, ‘যখনই কোনও হত্যার ঘটনা ঘটে, তখনই তার যথাযথ তদন্ত হওয়া দরকার। অপরাধী কে, সেটা এক্ষেত্রে বড় কথা নয়। ঘটনা ঘটলে তার তদন্ত করতেই হবে। আমরা কখনই অবাধে হত্যালীলা চলতে দিতে পারি না। আমরা সেই দায় ঝেড়ে ফেলতে পারি না।’
Human rights and the rule of law provide a roadmap and a compass. Like young people around the world, the youth of Bangladesh are showing true leadership in the struggle for human rights. I stand with them. pic.twitter.com/0eH8DFxHa3
— Volker Türk (@volker_turk) October 30, 2024
এছাড়াও এদিন বাংলাদেশের সাম্প্রতিক গণ-অভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ টেনে তুর্ক বলেছেন, ‘গত ৫ অগস্ট থেকে ১৫ অগস্টের মধ্যে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর যে সমস্ত আক্রমণের অভিযোগ উঠেছে, আমাদের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন তারও তদন্ত করছে।’