বাংলাহান্ট ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine War) অব্যাহত। এই আবহে অস্ত্র ও বিমানের সাহায্য চেয়েছিল ইউক্রেন। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট সাফ জানিয়ে দিলেন, জেলেনস্কিকে কোনও ভাবেই তাদের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দেওয়া হবে না। রুশ সেনার সঙ্গে যুদ্ধে কোনও রকম যুদ্ধবিমান দেওয়া হবে না ইউক্রেনকে। তবে বাইডেন তাদের কাছের বন্ধুদেশ পোল্যান্ডে যাবেন।
হোয়াইট হাউজের বাইরে জো বাইডেনকে এক রিপোর্টার এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি সাফ ‘না’ বলে দেন। উল্লেখ্য, জার্মানিও ইউক্রেনে যুদ্ধবিমান পাঠাবে না বলে জানিয়েছে। এর ঠিক পরের দিন সরে দাঁড়াল আমেরিকাও। যদিও, গত সপ্তাহেই জার্মানি, আমেরিকা সহ একাধিক দেশ কিভে ট্যাঙ্ক পাঠানোর কথা ঘোষণা করেছিল। জেলেনস্কিকে লেপার্ড ২ ট্যাঙ্ক সরবরাহ করবে বার্লিন। অন্যদিকে, আমেরিকাও তাদের দু’টি অত্যাধুনিক ট্যাঙ্ক এম ১ আব্রামস সরবরাহ করবে বলে জানিয়েছিল।
কিন্তু যুদ্ধবিমান পাঠানোর প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে দু’দেশই। ইউক্রেনের সহকারী-বিদেশ মন্ত্রী আন্দ্রি মেলনাইক আমেরিকা ও জার্মানির ট্যাঙ্ক পাঠানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি পশ্চিমী বন্ধু রাষ্ট্রগুলিকে একটি যুদ্ধবিমানের জোট গড়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেখানে তাদের হাতে ইউরোফাইটার, টোর্নাডো, ফরাসী রাফাল ও সুইডিশ গ্রিপেন জেট থাকবে।
ইউক্রেন জানিয়েছিল, এই বিমানের মাধ্যমে নিজেদের আকাশসীমার নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাবে তারা। জানা গিয়েছে, একাধিক ইউরোপীয় দেশ ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দেওয়ার প্রস্তাবে রাজি। ফরাসী প্রেসিডেন্ট এম্যানুয়্যেল ম্যাক্রোঁ সোমবার বলেন, যুদ্ধবিমান দিতে আপত্তি নেই। তবে এর ফলে হামলা বেড়ে যেতে পারে বলেও সাবধান করেছেন তিনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়া ও ইউক্রেন দু’পক্ষই আগামী মাসগুলিতে একাধিক আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ করতে পারে।
পশ্চিমের যুদ্ধবিমান কিভের শক্তি বৃদ্ধি করবে অনেকটাই। গত ১১ মাসের যুদ্ধে তাদের নিজস্ব বিমান বাহিনী অনেকটাই কমে গিয়েছে। এদিকে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ আরও সামরিক সাহায্য পাঠানোর বিষয়টিকে “অর্থহীন” বলে অভিহিত করেছেন। কারণ তারা সবেমাত্র ভারী ট্যাঙ্ক পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে ন্যাটো সামরিক জোট (NATO military alliance) কখনই রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে সামিল ছিল না।