বাংলাহান্ট ডেস্ক: ডিম্পল কাপাডিয়া (dimple kapadia) ও রাজেশ খান্না (rajesh khanna), বলিউডের এই দুই সুপারস্টারের জুটি নিয়ে কৌতূহলের অন্ত নেই মানুষের। চিরদিনই ‘গসিপ’ হয়ে থেকেছে ডিম্পল ও রাজেশের দাম্পত্য জীবন। একসঙ্গে সংসার করলেও ডিম্পল যে সানি দেওলের প্রতি অনুরক্ত ছিলেন তা কারোরই অজানা নয়। কিন্তু আলাদা থাকলেও কখনোই আইনি বিচ্ছেদ হয়নি দুজনের। স্বামীর ব্যাপারে কুকথা বলানোর জন্য উসকালে চরম ক্ষুব্ধও হয়েছিলেন ডিম্পল। আজ ৬৪তে পা দিলেন অভিনেত্রী।
মাত্র ১৬ বছর বয়সে বলিউডে পা রাখেন ডিম্পল। ওই ছোট বয়সেই রাজেশ খান্নার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। খুবই কম বয়সে নিজের অভিনয় দক্ষতা, প্রতিভা ও সৌন্দর্য দিয়ে দর্শকদের মোহিত করে দিয়েছিলেন ডিম্পল। রাজ কাপুর নিজের ছেলে ঋষি কাপুরকে বলিউডে অভিষেক করানোর জন্য তাঁর বিপরীতে ডিম্পলকে পছন্দ করেছিলেন। যুগলের প্রথম ছবি ‘ববি’ সুপার ডুপার হিট হয়েছিল।
ষোড়শী ডিম্পলকে সুইমস্যুটে দেখে পুরুষ হৃদয়ে তখনো ঝড় উঠেছিল, এখনো ওঠে। ‘সেক্স সিম্বল’ এর খেতাব পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু প্রথম ছবিতে দুরন্ত খ্যাতি পেয়েই অভিনয়ের থেকে লম্বা বিরতি নিয়ে নেন ডিম্পল। বলিউডে অভিষেক করেই রাজেশ খান্নার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন বছর ষোলোর ডিম্পল। তারপর দীর্ঘ ১১ বছর ছবিতে দেখা যায়নি তাঁকে।
রাজেশ খান্নার থেকে ১৫ বছরের ছোট ছিলেন ডিম্পল। তাঁদের দুই মেয়ে টুইঙ্কল ও রিঙ্কি। বিয়ের পর সন্তানদের মানুষ করার জন্য অভিনয় থেকে বিরতি নিয়েছিলেন ডিম্পল। কিন্তু তাঁদের দাম্পত্য জীবন বেশিদিনের ছিল না। বিয়ের নয় বছর পরেই তাঁরা আলাদা হয়ে যান। তবে কোনোদিনই আইনি বিচ্ছেদ হয়নি রাজেশ ডিম্পলের। স্বামীকে চিরদিন শ্রদ্ধা করে এসেছেন অভিনেত্রী। রাজেশ খান্না রাজনীতিতে যোগ দিলে তাঁর হয়ে প্রচারও করেছেন ডিম্পল।
একবার সাংবাদিক খালিদ মহম্মদ তাঁকে রাজেশ খান্নার বিষয়ে প্রশ্ন করলে সপাটে জবাব দিয়েছিলেন ডিম্পল। তিনি সাফ বলেছিলেন, ‘উনি একজন খুবই ভাল মানুষ। ওঁর সঙ্গে বিয়ের সময় আমার বয়স খুব কম ছিল। আমরা আলাদা হয়ে গেলেও ওঁর প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও ভালবাসা রয়েছে। তাই ওঁর ব্যাপারে আমার মুখ থেকে কোনো কুকথা বের করার চেষ্টাও কোরো না।’
রাজেশ খান্নার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ফের ‘সাগর’ ছবির মাধ্যমে কামব্যাক করেন ডিম্পল। এই ছবিতেই প্রথম টপলেস দৃশ্যে অভিনয় করেছিলেন তিনি। যথেষ্ট বিতর্কও হয়েছিল দৃশ্যটি নিয়ে। ‘জাঁবাজ’ ছবিতে অনিল কাপুরের সঙ্গে ডিম্পলের অন্তরঙ্গ দৃশ্যটি এখনো পর্যন্ত বড়পর্দায় অন্যতম বোল্ড দৃশ্য হিসেবে গণ্য হয়। অনবদ্য অভিনয়ের জন্য বহুবার পুরষ্কৃত হয়েছেন অভিনেত্রী। ১৯৯৩ সালে ‘রুদালী’ ছবির জন্য জাতীয় পুরষ্কার পেয়েছিলেন ডিম্পল।