সৌরভের বাড়ির সামনে ঘুরঘুর! ধরা পড়তেই বেরিয়ে এল আসল সত্যি, পুলিশেরও চোখ উঠল কপালে

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ছোট থেকেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) বিরাট ভক্ত। আর তাঁকেই একটিবার চাক্ষুষ করার জন্য সপ্তম শ্রেণির এক পড়ুয়া যা করল তাতেই অবাক সকালে। মূলত, রথযাত্রা উৎসবের জন্য জমিয়ে রাখা টাকা খরচ করেই বাঁকুড়ার কোতুলপুরের বাড়ি থেকে সোজা মহারাজ সৌরভের ((Sourav Ganguly) পাড়ায় পৌঁছে গিয়েছিল অদ্রীশ হালদার। লক্ষ্য ছিল একটাই মহারাজের সাথে দেখা করা।

সৌরভের (Sourav Ganguly) বাড়িতে পৌঁছে গেল সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া:

কিন্তু, সৌরভের (Sourav Ganguly) বাড়িতে ঢুকতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি। শুধু তাই নয়, সেখানে পুলিশের সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ওই পড়ুয়াকে। আর তারপরেই জানা যায় সৌরভের সাথে দেখা করার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে এতটা পথ পাড়ি দিয়ে সেখানে পৌঁছে গিয়েছে অদ্রীশ। এমতাবস্থায়, সমগ্র বিষয়টি জানতে পেরে রাতেই পুলিশের তরফে অদ্রীশের বাবাকে ফোন করা হয়।

   

Unknown person caught entering house of Sourav Ganguly.

বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ জানিয়েছে, অদ্রীশ হালদার নামে সপ্তম শ্রেণির ওই পড়ুয়া চায় বড় হয়ে সৌরভ গাঙ্গুলীর (Sourav Ganguly) মত ক্রিকেটার হতে। বাবা মায়ের কাছে সে সৌরভকে দেখার ইচ্ছে প্রকাশ করলেও তাঁরা বিষয়টিতে তেমন আগ্রহ দেখাননি। তাই, গত সোমবার দুপুরে কোতুলপুর থেকে প্রথমে বাস এবং ট্রেনে চেপে রাতের দিকে কলকাতায় পৌঁছে যায় অদ্রীশ।

আরও পড়ুন: ভারত ছাড়িয়ে এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দাপট দেখাবে অযোধ্যার রাম মন্দির! আমেরিকার সিদ্ধান্তে ধন্য ধন্য গোটা দেশ

এমতাবস্থায়, মঙ্গলবার সকালেই বেহালা থানার পুলিশের পক্ষ থেকে অদ্রীশকে তার বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয় বলেও জানা গিয়েছে। তবে, বাড়ি ফিরে গেলেও আক্ষেপ মিটছে নাঅদ্রীশের। সে জানিয়েছে, ‘‘সৌরভকে (Sourav Ganguly) তো আমি দেখতে পেলাম না। তবে রাতে বেহালা থানার বড়বাবু বেশ আদর করে আমাকে রোল, বিরিয়ানি, কেক খাইয়েছেন।’’

আরও পড়ুন: টাটার নাম করে ১৭ কোটির প্রতারণা! খাস কলকাতায় বড়সড় কেলেঙ্কারি, অভিযোগ সামনে আসতেই….

এদিকে, অদ্রীশের বাবা শিবরাম হালদার জানিয়েছেন, “আমার ছেলে সৌরভ গাঙ্গুলির (Sourav Ganguly) বিরাট ভক্ত। সোমবার দুপুরে আমাদেরকে কিছু না জানিয়েই সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছিল। দুপুরে তাকে অনেক খোঁজাখুঁজির পরে আমরা কোতুলপুর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলাম। শেষ পর্যন্ত বেহালা থানার পুলিশ আমার ছেলেকে যেভাবে ফিরিয়ে দিয়েছে তাতে আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকব।”

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর