বাংলা হান্ট ডেস্ক : উন্নাও কাণ্ড নিয়ে রীতিমতো তোলপার শুরু হয়েছে দেশ জুড়ে। এক বছর আগে উন্নাও গণধর্ষণের ঘটনার পর আদালতে উঠেছিল মামলাটি। তারপর মামলার দিন আদালতে যাওয়ার পথেই তাঁকে সদ্য জেল থেকে বেরিয়ে আসা ধর্ষক পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে নির্যাতিতাকে। গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার এই ঘটনা ঘটে এবং শুক্রবার গভীর রাতে মারা যায় ওই নির্যাতিতা।
আগেই ওই নির্যাতিতার সঙ্গে অভিযুক্ত শিবম ত্রিবেদীর প্রেমির সম্পর্ক ছিল বলে শোনা গিয়েছি। আর সেই প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে বন্ধু নিয়ে এসে তরুনীকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। কিন্তু উত্তপ্ততার মাঝেই উঠে এল আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে অভিযুক্ত শিবম ত্রিবেদীর সঙ্গে ওই নির্যাতিতা তরুনীর নাকি ম্যারেজ এগ্রিমেন্টে সাক্ষরও হয়েছিল।
যেখানে লেখা ছিল ‘আমরা স্বামী স্ত্রী হিসাবে একসঙ্গে থাকছি। কোনও রকমের আইনি জটিলতা যাতে না থাকে তার জন্য এই চুক্তিতে আমরা স্বাক্ষর করছি এমনটাই জানিয়েছেন নিগৃহীতার আইনজীবি।তবে এএখানেই উঠছে প্রশ্ন, তাহলে কি শিবম প্রেমিক নয় স্বামী ছিলেন, নাকি এই ম্যারেজ এগি্রিমেন্টের পিছনেও রয়েছে কোনো রহস্য। কার্যত জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ম্যারেজ এগ্রিমেন্ট ঘিরে।
গত বৃহস্বৃপতিবার ভোরবেলায় আদালতে হাজিরা দেওয়ার জন্য রায়বেরিলি স্টেশনের উদ্দেশ্যে বেরোলে উন্নয়ের নির্যাতিতাকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয়।আর রাস্তা আটকে পেট্রোল জেলে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়, গায়ে আগুন নিয়েই প্রায় কয়েক কিলোমিটার পথ ছুটতে হয় ওই তরুণীকে। তখনই প্রায় তাঁর দেহের নব্বই শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। তার পর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতে বিমান পথে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
তাঁরা কয়েক ঘণ্টা মরণপণ লড়াইয়ের পর অবশেষে তাঁর মৃত্যু হয় দিল্লির হাসপাতালে। উল্লেখ্য দ্বিতীয় বার আক্রান্ত হওয়ার পর ওই তরুণীর অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক ছিল।শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক হয়ে পড়ে। উল্লেখ উন্নাও কাণ্ডের অভিযুক্তরা জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর আরও একবার ওই নির্যাতিতাকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছিল।