গায়ে আগুন, বাঁচার আর্তি নিয়ে ছুটছিলেন! উন্নাওয়ের নির্যাতিতাকে ডাইনি ভেবে মুখ ফিরিয়েছেন পথচারীরা

বাংলা হান্ট ডেস্ক :হায়দেরাবাদ গণধর্ষণ ও খুন কাণ্ডের রেশ এখনও অব্যাহত। যদিও দোষীদের শুক্রবার সকালেই এনকাউন্টার করেছে তেলেঙ্গানা পুলিশ।আর এরপর থেকেই এখন হায়দেরাবাদের নিহত মহিলা পশুচিকিত্সকের ওপর পাশবিক অত্যাচারের সঠিক সাজা হয়েছে বলে মন্তব্য করে দেশবাসী। তবে হায়দেরাবাদের কাণ্ড নিয়ে যখন উত্তাল গোটা দেশ ঠিক তখনই দেশের আর এক প্রান্চে ঘটে গিয়েছে আরও এক ঘৃন্য ঘটনা।

বৃহস্পতিবার আদালতে যাওয়ার পথে উন্নাওয় গণধর্ষণ কাণ্ডে নির্যাতিতাকে পেট্রল জ্বেলে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ ওঠে। হাসপাতালের বেডে শুয়ে নিজের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন নির্যাতিতা তরুনী। বর্তমানে লখনউ এর হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ওই তরুনী বলেছেন, বৃহ্সপতিবার ভোরে যখন তিনি আদালতে যাওয়ার জন্য রায়বেরেলির দিকে যাচ্ছেলেন ঠিক তখনই তাঁকে পথ আটকায় হরিশংকর ত্রিবেদী, শুভম, কিশোর, শিবম ও উমেশ এরপর তাঁর গায়ে পেট্রল জ্বেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে।unnao rape survivor d97ea01a 178f 11ea 8601 f2d8bfbcf79c

এরপর গায়ে আগুন নিয়ে বাঁচার জন্য তীরের বেগে ছুটতে থাকে সে। কিন্তু রাস্তার মানুষ ভয় পেয়ে রীতিমতো সরে গিয়েছিলেন। তাঁকে ডাইনি ভেবে অনেকে চম্পটও দিয়েছিলেন। যদিও কয়েক কিমি গিয়ে তবে সাহায়্য মিলেছিল।এক ব্যক্তির বাড়ির সামনে গিয়ে গায়ে আগুন নিয়ে যদিও তাঁকে বোঝাতে হয়েছিল তাঁকে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। এরপর সেই ব্যক্তিই তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেন।

উল্লেখ্য, ওই তরুনীর দেহের ৯০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছে। বৃহ্সপতিবারই তাঁকে বিমানপথে দিল্লীর সফদরজং হাসপাতেল নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালে এক বন্ধুকে নিয়ে ওই নির্যাতিতার প্রেমিক তাঁকে ধর্ষণ করে। যদিও থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু এক অভিযুক্তকে জেলে পাঠানো হলে আপাতত জামিনে মুক্ত।

সম্পর্কিত খবর