বাংলাহান্ট ডেস্ক : জাতিসংঘের বৈঠকে রীতিমতো বিবাদে জড়ালো রাশিয়া এবং আমেরিকার মতন শক্তিধর দেশগুলি। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইউক্রেনের উত্তেজনাপূর্ন পরিস্থিতি বিষয়ক বৈঠকে মতদানের আগে আমেরিকার চাপের মুখেও পাশে থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন এক রাশিয়ান কুটনীতিক। এই বৈঠকে চিন মত দিয়েছে আমেরিকার বিরুদ্ধে, ভারত, কেনিয়া এবং গ্যাবন অংশগ্রহণ করেনি এই পদ্ধতিগত মতদানে।
জাতিসংঘে রাশিয়ার প্রথম উপস্থায়ী প্রতিনিধি দিমিত্রি পলিনস্কি একটি ট্যুইট করে লেখেন, ‘আমরা যেমনটি ভেবেছিলাম, এটি একটি জনসংযোগের উপায় ছাড়া আর কিছুই নয়, এটি একটি মেগাফোন কূটনীতি’। তিনি আরও বলেন, ‘আমেরিকার কূটনীতির সবচেয়ে খারাপ স্তর এটি। আমাদের চার বন্ধু রাষ্ট্র চীন, ভারত, কেনিয়া এবং গ্যাবনকে ধন্যবাদ আমেরিকার চাপের মুখেও অটল থাকার জন্য।’
অন্যদিকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ডের দাবি, ‘রাশিয়ার আগ্রাসন শুধু ইউক্রেন এবং ইউরোপের জন্যই আশঙ্কার নয়, এটি গোটা বিশ্বের জন্যই বিপদজনক।’ তাঁকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘যাতে সমস্যায় পড়তে না হয় সেই কারণেই ব্যাপারটিকে আমরা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ অবধি নিয়ে এসেছি। এবার রাশিয়ার সদিচ্ছার পরীক্ষা হবে। তারা আলোচনার মাধ্যকে চুক্তিতে পৌঁছানো অবধি এভাবেই থাকবে? যদি তা না হয় তাহলে গোটা বিশ্ব জানবে এর পিছনে দায়ি কে’।
বৈঠকের আগেই উন্মুক্ত বৈঠকটি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত কি না তা নির্ধারণের জন্য একটি পদ্ধতিগত মতদানের প্রস্তাব দিয়েছিলেন রাশিয়া কাউন্সিলের এক স্থায়ী এবং ভেটো ক্ষমতাযুক্ত সদস্য। সেখানে রাশিয়া এবং চিন ভোট দেয় বৈঠকের বিপক্ষে, অন্যদিকে ফ্রান্স, আমেরিকা, যুক্তরাজ্য সহ ১০ টি দেশ ভোট দেয় বৈঠকের পক্ষে। এই ভোটে অংশগ্রহনই করেনি ভারত,গ্যাবন এবং কেনিয়া।
পুরো বৈঠকে শান্তির বার্তাই দেয় ভারত। এক্ষেত্রে ভারতের মতামত ছিল আন্তর্জাতিক শান্তি এবং নিরাপত্তার বৃহত্তর স্বার্থে উত্তেজনা বাড়ায় এমন যেকোনো পদক্ষেপ এড়িয়ে চলা উচিত।
হাজার হাজার রাশিয়ান সেনা ইউক্রেনের সীমান্তে জড়ো হওয়ায় সেই সমস্যা মেটাতেই বৈঠকে বসে ১৫ সদস্যের কাউন্সিল। এই বৈঠকে রাশিয়ার আচরণ ইউক্রেণ আক্রমনের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিলেও রাশিয়া অস্বীকার করেছে তা। জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টিএস তিরুমূর্তি বলেন, ‘ভারত এমন একটি সমাধান খুঁজে বের করতে চায় যা সমস্ত দেশের বৈধ নিরাপত্তা দিয়ে অবিলম্বে উত্তেজনা প্রশমিত করতে পারে।’ ২০ হাজারেরও বেশি ভারতীয় ছাত্র এবং নাগরিক ইউক্রেনে বসবাস করছে। ‘ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপত্তাই আমাদের আগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ’ এমনটাই জানান তিনি।