বাংলা হান্ট ডেস্ক : আবারও ফতোয়া জারি আফগানিস্তানে (Afganistan)। তালিবান (Taliban) সরকার এবার দেশের মহিলাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা নিষিদ্ধ ঘোষণা করল। মঙ্গলবার দেশের শিক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারি করে এ কথা ঘোষণা করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ আসা পর্যন্ত মহিলা শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে প্রবেশাধিকার স্থগিত থাকবে। তালিবান সরকারের এই নির্দেশিকাকে ঘিরে শুরু হয়েছে চরম বিতর্ক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (US) এবং বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন তালিবানদের এই ধরনের নির্দেশের তীব্র নিন্দা করেছে।
তালিবান সরকারের শিক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র জিয়াউল্লাহ হাশিমি জানান, মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত মেনে সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে অবিলম্বে মহিলা শিক্ষার্থীদের প্রবেশ স্থগিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী নেদা মহম্মদ নাদিম এই নির্দেশিকায় স্বাক্ষরও করেছেন। আফগান সরকারের জারি করা এই নতুন নির্দেশিকার তীব্র নিন্দা করেছে আমেরিকা। মার্কিন বিদেশ মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘তালিবানরা মহিলাদের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার অধিকারকে লঙ্ঘন করেছে। আফগান নারীরা আরও ভালো শিক্ষার যোগ্য। এটা খুবই হতাশাজনক সিদ্ধান্ত।’ তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অন্য কোনও দেশ মহিলাদের শিক্ষায় বাধা দেয় না।
মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র নেড প্রাইসও এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। তিনি টুইটারে লেখেন, ‘তালিবানরা মহিলাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা নিষিদ্ধ করেছে। মেয়েদের জন্য মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখছে এবং আফগানিস্তানে মহিলাদের মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে চাইছে। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তালিবানদের পদক্ষেপের নিন্দা করে জানিয়েছে, ‘এটি লজ্জাজনক পদক্ষেপ। তালিবানরা আফগানিস্তানে নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া নিষিদ্ধ করেছে। নারী ও মেয়েদের মৌলিক অধিকারকে লঘু করেছে।’
গোটা আফগানিস্তান জুড়ে হাজার হাজার ছাত্রী মাস তিনেক আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশিকা পরীক্ষা দিয়েছেন। তারপরেই উচ্চশিক্ষার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল তালিবান সরকার। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে বর্তমানে শীতকালীন ছুটি চলছে। আগামী মার্চ মাসে আবারও খুলবে স্কুল। তালিবানের আফগানিস্তান দখলের পর স্কুল বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন নতুন নিয়ম নিয়ে এসেছে। ইতিমধ্যেই মাধ্যমিক শিক্ষায় খুব সীমিত প্রবেশাধিকার রয়েছে মেয়েদের।