বাংলাহান্ট ডেস্ক : নেওয়া হয়নি আগে থেকে কোনও অনুমতি। নিজের বাড়িতেই করে ফেললেন নমাজ আদায়। আর এই ‘অপরাধেই’ ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হল। উত্তরপ্রদেশের (UP) এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। উত্তরপ্রদেশ সরকার (UP Government) অভিযোগ করে বিনা অনুমতিতে জমায়েত হয়েছিল একটি বাড়িতে। সেখানে ২৬ জন নমাজ আদায় করেন। এই ঘটনার পরই কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা তথা জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। ক্ষুব্ধ এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসিও।
জানা যাচ্ছে, উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ জেলার ছাজলাট এলাকার একটি গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে। নমাজ আদায় করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তাঁদেরই এক প্রতিবেশী। অভিযোগকারী দাবি করেন, প্রতিবেশীদের ইচ্ছার বিপরীতে গিয়ে জমায়েত করে নমাজ আদায় করা হয়েছে। এর জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আগে থেকে কোনও অনুমতিও নেওয়া হয়নি। এর পরই জনদুর্ভোগের জন্য ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৫(২) ধারার অধীনে একটি মামলা করা দায়ের করা হয় ২৬ জনের বিরুদ্ধে। এদের মধ্যে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে মামলায়। বাকি ১০ জনের নাম এখনও অজানা। যদিও এই ঘটনায়এ খনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। মামলার তদন্ত করছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এই ঘটনাটি ঘটে গত ২৪ অগস্ট।
ওমর আবদুল্লা টুইট করে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানান। তিনি লেখেন, ‘আমি নিশ্চিত যে প্রতিবেশীদের মধ্যে একজন যদি ২৬ জন বন্ধু এবং আত্মীয়ের সঙ্গে কোনও যজ্ঞ করতেন তাহলে তা পুরোপুরি গ্রহণযোগ্য হত। সমস্যাটা জনসমাবেশ নয়, নমাজ আদায়ের বিষয়টিই আসল সমস্যা।’ টুইটারে পোস্ট করা এক ভিডিয়ো বার্তায় আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বলেন, ‘রাস্তায় নমাজ পড়ায় কী সমস্যা আছে? আর এখন তো নিজের ঘরে নামাজ পড়াটাও আপত্তিকর হয়ে উঠেছে! কেউ কি অন্য ধর্মের লোকদের তাদের দেব-দেবীর পূজা করতে বারণ করেছে? … সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে যে কোনও জায়গায়তেই নমাজ পড়া যাবে।’
অভিযুক্তদের অন্যতম অন্যতম ওয়াহিদ সাইফি এই বিষয়ে সরব হয়েছেন। তিনি জানান, তিনি সেই জমির মালিক যেখানে নমাজ আদায় নিয়ে আপত্তি উঠেছিল। তাঁর অভিযোগ, স্বাধীনতার পর থেকেই নিয়মিত সেই জমিতে নমাজ আদায় হয়ে আসছে। তবে সম্প্রতি বজরং দলের কয়েকজন ‘দুষ্কৃতি’ এতে আপত্তি জানায় বলেও দাবি করেন সাইফি।