বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উত্তর প্রদেশের মহারাজগঞ্জ জেলার কোলহুই এলাকায় রবিবার নিকাহ’র সময় তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। মৌলবি যখন নিকাহ পড়াচ্ছিলেন, তখন বর উর্দুর কয়েকটি উচ্চারণ করতে গিয়ে বারবার বিষম খাচ্ছিল। সবাই বরের কাণ্ড দেখে সন্দেহ করে। জিজ্ঞাসাবাদ করার পর বরের মুখোশ খোলে। দেখা যায় যে, সে অন্য ধর্মের। এরপরই সেখানে উপস্থিত জনতা তাঁকে মারধোর শুরু করে দেয়। পালানোর চেষ্টা করা বরযাত্রীদের ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, কোলহুই’র একটি যুবতী সোশ্যাল মিডিয়ায় সিদ্ধার্থনগরের এক যুবকের সঙ্গে ভালোবাসায় মজেছিল। দুজন দুজনের বাড়িতে যাতায়াত শুরু করে। দুই বছর পর যুবতীর পরিবার বিয়ের জন্য রাজি হয়। যুবক লকডাউনের ছুতো দিয়ে মাত্র পাঁচজন বরযাত্রী নিয়ে যাবে বলে জানায়। নির্ধারিত তারিখে বর ৫ জনকে নিয়ে নিকাহ করতে পৌঁছয়। নিকাহ’র সময় বর উর্দু বলতে গিয়ে বারবার আটকে যায়। এরপরই মৌলবির সন্দেহ হয়।
যুবতীর পরিজনেরা যুবকের বাড়িতে গিয়েছিল না, এই কারণে তাঁরা সত্যতা জানত না। জিজ্ঞাসাবাদের সঙ্গে তল্লাশিও শুরু হয়। তল্লাশিতে যুবকের থেকে একটি প্যান কার্ড উদ্ধার হয়। প্যান কার্ডে ছবি যুবকেরই ছিল, কিন্তু নাম অন্য ছিল। আসলে যুবক নিজের ধর্ম লুকিয়ে যুবতীর সঙ্গে প্রেম করে তাঁকে বিয়ে করতে গিয়েছিল।। ঘটনার খবর পেতেই এসআই সেখানে পৌঁছান। বর এবং বরযাত্রীদের কয়েকজনকে ধরে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, বরের পরিবার এই বিষয়ে কিছুই জানত না।
থানার ইনচার্জ জানান, বরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। দুই পক্ষ নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলছে। অভিযোগ মিললেই মামলা দায়ের করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।