বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিজের ধর্মীয় পরিচয় গোপন করে হিন্দু তরুণীকে (Hindu girl) বিয়ের অভিযোগ উঠল এক মুসলিম যুবকের (Muslim Man) ওপর। জানা গিয়েছে, তরুণীকে নিজের প্রেমের জালে জড়িয়ে ধর্মান্তকরণের চেষ্টা করেছিলেন অভিযুক্ত যুবক।
ঠিক কি জানা গিয়েছে? ঘটনাটি ঘটেছে ভারতবর্ষের উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand)। সূত্রের খবর, আদতে উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা তরুণীর সঙ্গে আলাপ জমানোর সময় নিজেকে আশিস ঠাকুর বলে পরিচয় দেন ওই অভিযুক্ত যুবক। তরুণী যখন নয়ডার দাদরি এলাকায় থাকতেন তখনই উভয়ের মধ্যে পরিচয় হয়। সেই একই এলাকায় থাকতেন অভিযুক্ত। কোনো এক কারণে কিছুদিন আগে চাকরি চলে যায় সেই তরুণীর। মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। অভিযোগ, তরুণীর এই অসহতার সুযোগকে কাজে লাগায় অভিযুক্ত যুবক। প্রথম দিকে সহানুভূতি দেখিয়ে কথোপকথন বাড়ায় সে। কিছুদিন বাদে মিথ্যে প্রেমের ফাঁদে জড়ানো হয় ওই তরুণীকে।
পরে জানা যায়, নিজেকে আশিস ঠাকুর পরিচয় দেওয়া ওই যুবকের আসল নাম হাসিন সইফি। পরিবার ছেড়ে কর্মসূত্রে ছেলে বাইরে থাকায় রবিবার ছেলের খোঁজে এসকর্ট কলোনির ফ্ল্যাটে আসেন অভিযুক্ত যুবকের বাবা শাকিল সইফি। এরপরই সামনে আসে সমস্ত সত্যি। যুবকের বাবা স্থানীয়দের কাছে জানতে চান, হাসান সইফি নামের কেউ এই ফ্ল্যাটে থাকছে কিনা। তখন তার উত্তরে এলাকার প্রতিবেশীরা জানান, যিনি ফ্ল্যাটের যুগ্ম বাসিন্দা তার নাম আশিস ঠাকুর।
এই ঘটনার সময় ফ্ল্যাটে উপস্থিত ছিলেন না অভিযুক্ত যুবক। ছিলেন তরুণী একা। এর পর যুবকের বাবা সব খুলে বলতেই পুরো বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যায় তরুণীর কাছে। এরপরই আর দেরী না করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সেই তরুণী।
অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দ্রুত আশিস ঠাকুর ওরফে হাসান সইফিকে গ্রেপ্তার করে। সাথেই অভিযুক্তর বিরুদ্ধে ধর্মন্তকরণের চেষ্টা, প্রতারণা ধর্ষণ -সহ একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন অভিযুক্ত হাসান সইফি।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা