নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার লখনউ ও সম্ভলে সহিংসতার পরে শুক্রবার পুলিশ ও গোয়েন্দা ইউনিট একই আশঙ্কা করেছিল। কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থাপনার দাবির মাঝে নামাজ পড়ার পরে রাস্তায় আন্দোলনকারীরা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে। প্রায় অর্ধশতাধিক গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। কানপুর নগর, ফিরোজাবাদ, মীরাট, বুলান্দশহর, গোরক্ষপুর, বিজনোর, হাপুর, সাহারানপুর, আমরোহা, বহরাইচ, বেরিলি, মুজাফফরনগর সহ প্রায় ১৫ টি জেলায় উপদ্রবীরা দাঙ্গা ফ্যাসাদ শুরু করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করলে পুলিশের উপর পাথর ছুঁড়ে আক্রমণ করা হয়।
পুলিশ লাঠিচার্জ করে, কিন্তু বেশ কয়েকবার তাদেরকে একটি অনিয়ন্ত্রিত জনতার থেকে পিছু হটতে হয়। তবে এখন একটা বড়ো খবর সামনে আসছে। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, ১৩ জন দাঙ্গাবাজকে গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছে। দাঙ্গাবাজদের উপর কিভাবে পুলিশ গুলি চালিয়েছে, কোন অবস্থায় গুলি চালিয়েছে তার বিস্তারিত এখনও জানা যায়নি। ডিজিপি ওপি সিং বলেছেন যে শুক্রবার বিভিন্ন জেলায় সহিংসতার পরে পুলিশ তাত্ক্ষণিক প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
এখনও অবধি প্রায় ৩০০০ জন দাঙ্গাবাজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মোট 38 পুলিশ পাথর ছোড়ার কারণে আহত হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন কয়েকটি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশে যারা যারা উপদ্রব চালিয়েছে সকলকে চিহ্নিতকরণ করা হয়েছে। এবার সকলকে গ্রেফতার করে তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। যারপর সেখান থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে সিএম যোগী আগেই অতিরিক্ত মুখ্য সচিব (স্বরাষ্ট্র) এবং ডিজিপিকে এই উপদ্রবগুলি কঠোরভাবে মোকাবেলা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী আগেই বলেছিলেন যে প্রত্যেকটি উপদ্রব চিহ্নিত করে তাদের সম্পত্তি দখল ও ক্ষতি করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন চিহ্নিতকরণ এর কাজ সমাপ্ত হয়েছে, সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে। লক্ষণউ এর এক দাঙ্গাবাজকে যোগী সরকার ৭২ হাজার টাকা জমা করার নোটিসও পাঠিয়ে দিয়েছে।