বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মাত্র কয়েক ঘণ্টা, তারপরেই কড়া পদক্ষেপ যোগী সরকারে। মোরাদাবাদে করোনা সন্দিগ্ধ রোগীদের পরীক্ষা করতে যাওয়া স্বাস্থকর্মীদের টিমের উপর হামলা চালানো হামলাকারীদের তুলে নিয়ে গেলো পুলিশ। উল্লেখ্য, উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) মোরাদাবাদের (Moradabad) নাগফনির নবাবপুরা মসজিদ হাজী ন্যাব এলাকায় করোনা সন্দিগ্ধ মানুষের খোঁজে যাওয়া ডাক্তারদের টিমের উপর হামলা করে এলাকাবাসী। ডাক্তারদের উপর পাথর ছোঁড়া হয়। এই হামলায় অ্যাম্বুলেন্স আর পুলিশের দুই গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই হামলায় এক ডাক্তার সমেত তিন পুলিশকর্মী আহত হন। ঘটনাস্থলে এসপি আর ডিএম পৌঁছে মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করে।
এই ঘটনার পর অ্যাম্বুলেন্সে থাকা স্বাস্থকর্মীরা জানান, তাঁরা যখন করোনা সন্দিগ্ধকে নেওয়ার জন্য সেখানে যায়, তখন আশেপাশের মানুষ একত্রিত হয়ে পড়ে। তাঁরা অভিযোগ করে যে, কোয়ারেন্টাইনে রোগীদের খাওয়ার দেওয়া হয়না। সেখানে উপস্থিত থাকা চারজন পুলিশ কর্মী তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ভিড় তাঁদের কথা না শুনেই তাঁদের উপর পাথর দিয়ে হামলা শুরু করে।
উল্লেখ্য, সোমবার রাতে তির্থাঙ্কর মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে জামাতে অংশ নেওয়া এক ৪৯ বছর বয়সী করোনা সংক্রমিত ব্যাক্তির মৃত্যু হয়। এরপর স্বাস্থ বিভাগের টিম বুধবার ওই ব্যাক্তির পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর জন্য সেখানে গেছিলেন। যখন স্বাস্থকর্মীরা সেখানে পৌঁছায়, তখন আশেপাশের মানুষ সেখানে একত্রিত হয়ে বলে যে, কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে খাওয়ার দেওয়া হয়না। আমরা আমাদের লোকেদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠাব না।
https://www.facebook.com/TheIntellectualWarfare/videos/151639079616533/
এরপর ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ তাঁদের অনেক বোঝানোর চেষ্টা করে, কিন্তু খিপ্ত জনতা কোন কিছুই বুঝতে না চেয়ে পুলিশ এবং স্বাস্থকর্মীদের উপর পাথর ছুঁড়তে শুরু করে দেয়। উত্তেজিত জনতার ছোঁড়া পাথরে একটি অ্যাম্বুলেন্স এবং দুটি পুলিশের গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়াও একজন ডাক্তার সমেত তিন পুলিশকর্মী আহত হন।
আর এই ঘটনার পর কড়া পদক্ষেপ নিয়ে হামলাকারীদের গ্রেফতার করে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। বিভিন্ন ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করে দাবি করা হয় যে, এটি মোরাদাবাদের ঘটনা। যদিও ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি।