বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আজ ভারত বন্ধ ডেকেছে কৃষকরা। সেই বন্ধকে সমর্থন করেছে একাধিক বিরোধী দল। যদিও যোগী প্রশাসন আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, বন্ধের নামে হুজ্জুতি করলেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু কৃষক আন্দোলনের আড়ালে রাজনৈতিক কার্যসিদ্ধিতে ব্যস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। বন্ধ জোর করে কার্যকর করতে গিয়ে এবার গ্রেফতার উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টির নেতা জিয়াউল ইসলাম ।
সারা দেশেই এই বন্ধের মিশ্র প্রভাব পড়েছে। উত্তরপ্রদেশের বেশ কিছু অংশে বন্ধ সফল করতে সমাজবাদী পার্টির কর্মীদের অতিসক্রিয় হওয়ার অভিযোগ এসেছে। গোরক্ষপুরেও তারা বেয়াদপিই করছিলেন। আর সেই কারণেই গোরক্ষপুরের প্রাক্তন সপা মহানগর অধ্যক্ষ জিয়াউল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
উল্লেখ্য, বিতর্কিত কৃষি আইনের বিরোধিতায় প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে দিল্লি সীমান্তে ধর্নায় বসেছেন পঞ্জাব, হরিয়ানার কৃষকরা। সমস্যা দূর করতে ইতিমধ্যেই সরকার পক্ষের সঙ্গে কৃষক সগঠনের নেতাদের পাঁচ রাউন্ড বৈঠক হয়েছে। যদিও সেসব ফলপ্রসূ হয়নি। আগামীকাল ফের একবার হবে বৈঠক। যদিও এসবের মাঝেই আজ ভারত বন্ধ [Bharat Bandh] ডাকে কৃষকরা।
তবে যোগী সরকার একেবারে কোমর বেঁধেই বনধের বিরোধিতা করছে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তরফ থেকে নির্দেশিকা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, কেউ বন্ধকে সমর্থন করতেই পারেন। কিন্তু তা সফল করার নামে জোর করে দোকান বন্ধ করা বা হাঙ্গামা করা হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই প্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) গতকাল জানান, ‘দেশের কিছু রাজনৈতিক দল দেশের শান্তি শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করতে চাইছে। বিশেষ করে কৃষি আইন নিয়ে কিছু রাজনৈতিক দলের অবস্থান তাদের দুমুখো চরিত্রকে জনগণের সামনে আরও স্পষ্ট করছে।’