বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাংলায় প্রথম দফা নির্বাচন শুরুর আগে (West Bengal Assembly Election) থেকেই বাহিনী নিয়ে শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক তরজা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বারবারই বাহিনী নিয়ে অভিযোগ তুলতে দেখা গেছে। তিনি একাধিক সভা থেকে জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর বেশে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ পাঠানো হচ্ছে এ রাজ্যে। এমনকি তারা বিজেপির হয়ে টাকা বিলোচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো (Mamata Banerjee)।
এদিন সেই অভিযোগ ঘিরে ফের বাহিনী (Central Force) নিয়ে জোর রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়। আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) উত্তরপ্রদেশ পুলিশের রুটমার্চ ঘিরে সেই তরজা আরও তীব্র হয়ে ওঠে তৃণমূল-বিজেপির (TMC & BJP) মধ্যে। এদিন পরনে খাকি পোশাক ও গলায় গেরুয়া রঙের ফিতে ঝুলিয়ে টহলদারি ও আলিপুরদুয়ারে ১০ কিমি রাস্তা রুটমার্চ করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের (UP Police) আর্মড ফোর্স।
আর এটি নিয়েই এবার সরব হয়েছে তৃণমূল। শাসকদলের তরফে অভিযোগ ধমকাতে-চমকাতেই উত্তরপ্রদেশ থেকে পুলিশ আনা হয়েছে। আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল প্রার্থী (TMC Candidate) সৌরভ চক্রবর্তী জানান, ‘ রাস্তায় একদল অবাঙালি পুলিশকে দেখে তিনি জিজ্ঞেস করাতেই তারা জানান, তারা উত্তরপ্রদেশ থেকে এসেছে। এমনকি গলাই গেরুয়া রিবন ঝুলিয়ে বাংলার মানুষকে তারা যদি শাসায়, তা রাজ্যবাসী মেনে নেবে না বলেও জানান সৌরভ।’
অন্যদিকে তৃণমূলের এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। আলিপুরদুয়ারের বিজেপি প্রার্থী (BJP Candidate) সুমন কাঞ্জিলাল জানান, ‘এই সব ভিত্তিহীন অভিযোগ। ২০১৮ সালের পঞ্ছায়েত নির্বাচনে যে রক্তাক্ত পরিস্থিতি তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি করেছিল। তারপর থেকেই মানুষ ভোট সন্মন্ধে ভীত হয়ে পড়েছিল। তাই নির্বাচন কমিশনের দ্বারা আগত সুরক্ষা বাহিনী, যারা রুটমার্চ করছেন, তা সাধারণ মানুষকে ভরসা দেওয়ার জন্য। তবে তৃণমূল চাইছে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করে, ভোটের মধ্যে একটা গণ্ডগোল পাকানোর।’
উল্লেখ্য, আলিপুরদুয়ায়ের পুলিশ সুপার এনিয়ে জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশেই উত্তরপ্রদেশ পুলিশ এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী হিসেবে এসেছে। তবে গলায় গেরুয়া ফিতে ঝুলিয়ে বেড়ানোর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।