বাংলাহান্ট ডেস্ক : কাবেরী নদীর জল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বচসা কর্ণাটক ও তামিলনাড়ুর। কিছুতেই এই বিরোধের সমাধান সূত্র মিলছে না। কাবেরী নদীর জলবন্টন ঘিরে বচসার জেরে দীর্ঘদিন ধরে সমস্যায় এই দুই রাজ্যের বাসিন্দারাই। সম্প্রতি কর্ণাটক সরকারকে কাবেরী জল ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দেয়, তামিলনাড়ুতে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে ১৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়ার।
এরপর এই নির্দেশের বিরুদ্ধে কর্ণাটক সরকার সুপ্রিম কোর্টের আদালতের হয়। কিন্তু উচ্চ আদালতেও কর্ণাটক সরকার সফলতা পায়নি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর রাজ্য জুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। অন্যদিকে আগামী শুক্রবার কর্ণাটক বনধের ডাক দিয়েছে কন্নড় ওক্কুট্টা। এর আগে অন্য একটি সংগঠন বেঙ্গালুরু বনধের ডাক দিয়েছিল আগামী ২৬ শে সেপ্টেম্বর।
আরোও পড়ুন : এড়িয়ে গেলেন শাহের অনুষ্ঠানও! অজিত পাওয়ারের মন্তব্যে তোলপাড় মহারাষ্ট্রের রাজনীতি
একাধিক সংগঠন এই হরতালে সায় দেয়। তবে কন্নড় ওক্কুট্টা আগামী শুক্রবার বনধের ডাক দেওয়ায় মঙ্গলবারের হরতাল থেকে সমর্থন সরিয়ে নেয় অন্যান্য সংগঠন। কন্নড় অধিকারের লড়াইয়ের জন্য কন্নড় ওক্কুট্টা দীর্ঘদিন ধরে পরিচিত। রাজ্যজুড়ে ৯০ টি শাখা রয়েছে এদের। কর্নাটকে এই সংগঠন খুবই শক্তিশালী ও প্রভাব বিস্তারকারী। ওলা, উবার চালক ও মালিক সমিতি মঙ্গলবারের হরতালে তাদের সমর্থন প্রত্যাহার করেছে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে ভাটাল নাগরাজ আজ একটি সভায় আগামী ২৯ শে সেপ্টেম্বরের হরতালের জন্য পরিবহন ইউনিয়ন, ফিল্ম চেম্বার, মল মালিক এবং স্কুল ও কলেজ ইউনিয়নগুলির সমর্থন চেয়েছেন। এছাড়াও আগামী ২৯ শে সেপ্টেম্বর টাউন হল থেকে ফ্রিডম পার্ক পর্যন্ত একটি প্রতিবাদ মিছিলেরও ডাক দিয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে বলা যায় আগামীকালের বেঙ্গালুরু হরতালের প্রভাব মিশ্র হতে চলেছে।