বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উচ্চপ্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ (Upper primary teacher recruitment) মামলায় জট যেন কিছুতেই খুলছে না। কিছুদিন আগেই মেরিট স্কোর না থাকায় ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশ হতেই আদালতের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থীরা। যার জেরে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দেন। শুধু তাই নয় কমিশনকে অপদার্থ বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এরপর নির্দেশ দেওয়া হয় নতুন করে বিষয়ভিত্তিক নম্বর সহ তালিকা জারি করতে হবে এক সপ্তাহের মধ্যে।
ইতিমধ্যেই সেই তালিকা জারি করেছে এসএসসি (School Service Commission)। কিন্তু বিষয় ভিত্তিক এই তালিকা নিয়েও খুশি হতে পারেননি চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। যদিও গত শুক্রবার সমস্ত দেখার পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, এই তালিকা মেনে এবার দ্রুত শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা নিক কমিশন। কারোর যদি কোন অভিযোগ থাকে তবে দুই সপ্তাহের মধ্যে তা স্কুল সার্ভিস কমিশনে জমা দিতে হবে। ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে অভিযোগের বিচার করে চাকরিপ্রার্থীকে কেন তিনি তালিকায় নেই তা জানাতে হবে কমিশনকে।
কিন্তু এই রায়ে খুশি হতে পারেনি চাকরি প্রার্থীরা। এবার সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে গেলেন তারা। ভৌতবিজ্ঞান বিষয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ করে সোমবার বিষয়টি ডিভিশন বেঞ্চের নজরে আনেন আইনজীবী সুবীর সান্যাল। চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের দাবি, স্কুল সার্ভিস কমিশন নম্বরসহ তালিকা প্রকাশ করে দুপুর বারোটা নাগাদ। খতিয়ে দেখতেই চোখে পড়ে একাধিক অসংগতি। তার জেরে একটি অতিরিক্ত হলফনামাও দায়ের করা হয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে। কিন্তু বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তা না দেখেই রায় দিয়েছেন।
রাজিব ব্রম্ভ সহ একাধিক চাকরি প্রার্থীর অভিযোগ, বারবার কমিশনের ভুল তাদেরকেই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হচ্ছে। হাইকোর্ট সূত্রে খবর বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে হবে এই নিয়োগ সংক্রান্ত লড়াই। এর দরুন ১৪ হাজারেরও বেশি চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ যে এখন বিশবাঁও জলে তা বলাই বাহুল্য। চলতি সপ্তাহেই ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।