Try again and again! এই মন্ত্রে আস্থা রেখেই UPSC ক্র্যাক এই বঙ্গ সন্তানের! জানেন কিভাবে এল সাফল্য?

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ইউপিএসসি (UPSC) পরীক্ষায় চমকে দেওয়া ফল করলেন বঙ্গসন্তান। বর্ধমানের দেবার্ঘ্য চট্টোপাধ্যায় চারবারের চেষ্টায় গোটা দেশের মধ্যে সপ্তম স্থান অধিকার করলেন। দেবার্ঘ্যর এই সফর মোটেই সহজ ছিল না। বর্ধমানের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের শ্যামলাল এলাকার বাসিন্দা দেবার্ঘ্য গত ৫ বছর ধরে প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন ইউপিএসসি পরীক্ষায় সফল হওয়ার জন্য।

ইউপিএসসি (UPSC) পরীক্ষায় বাজিমাত দেবার্ঘ্যর

অবশেষে আশাতীত সাফল্য পেয়ে অনেকের কাছে অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করেছেন বর্ধমানে (Burdwan) বেড়ে ওঠা দেবার্ঘ্য চট্টোপাধ্যায়। বর্ধমানের সিএমএস হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ হয়েছেন দেবার্ঘ্য। তারপর উচ্চশিক্ষার জন্য চলে আসেন কলকাতায়। ছোটবেলা থেকেই দেবার্ঘ্যর ইচ্ছে ছিল টেলিকমিউনিকেশন নিয়ে পড়াশোনা করার।

upsc declares results of civil services main examination 2022

কলেজে পড়ার সময় থেকেই নিতে শুরু করেন সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি। ২০২১ সালে প্রথমবারের জন্য বসেন ইউপিএসসি (UPSC) পরীক্ষায়। সেবার প্রিলিমস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি দেবার্ঘ্য। ২০২২ সালেও ইউপিএসসিতে প্রিলিমস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হন দেবার্ঘ্য।

আরোও পড়ুন : ‘চার সপ্তাহের মধ্যে..,’ ৬ শতাংশ হারে সুদ সমেত দিতে হবে ক্ষতিপূরণ! বিরাট নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

২০২৩ সালে প্রিলিমস, মেনস পাশ করে ইন্টারভিউ রাউন্ড পর্যন্ত পৌঁছালেও ইউপিএসসি (Union Public Service Commission) পরীক্ষায় অধরা থেকে যায় সাফল্য। তবে অদম্য জেদকে সঙ্গী করে ২০২৪ সালে বর্ধমানের এই ছেলে পেলেন বড়সড় সফলতা। দেবার্ঘ্য বলেছেন, “একাধিকবার প্রচেষ্টার পর এই সাফল্য এসেছে। আমি হাল ছাড়িনি। ইন্ডিয়ান টেলিকম সার্ভিস আমার লক্ষ্য ছিল।”

আরোও পড়ুন : ফের বৃষ্টি শুরু দক্ষিণবঙ্গে! এক লাফে বাড়বে তাপমাত্রাও, কবে থেকে? আবহাওয়ার আগাম খবর

তিনি আরো বলেন, “এবারের ফলাফল অনুযায়ী আমি ইন্ডিয়ান টেলিকম সার্ভিস পাচ্ছি। ইন্ডিয়ান টেলিকম সার্ভিস, ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকমিউনিকেশনে অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার টেলিকম হিসেবে যোগদান করব। পোস্টিং হবে নিউ দিল্লি। আমার মা আমাকে ছোট থেকেই খুব সাহায্য করেছে।” তাঁর কথায়,  “বন্ধুরা চাকরি করছে আর আমি বেকার বসে আছি। সেইসময় খারাপ লাগত।

IMG 20241206 151023

পাশাপাশি তার সংযোজন, “কিছু বন্ধু অনেক সাহায্য করেছে। আর আমার এই সাফল্যে আমি খুব খুশি হয়েছি। সকলের উদ্যেশ্যে বলব, হাল ছাড়লে চলবে না। লক্ষ্য স্থির রাখতে হবে।”  সেইসময় খারাপ লাগত। তবে, কিছু বন্ধু অনেক সাহায্য করেছে। আর আমার এই সাফল্যে আমি খুব খুশি হয়েছি। সকলের উদ্যেশ্যে বলব, হাল ছাড়লে চলবে না। লক্ষ্য স্থির রাখতে হবে।”

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর