বাংলাহান্ট ডেস্ক: উরফি জাভেদ (Urfi Javed), নামটা এখন কারোরই অজানা নয়। তিনি তথাকথিত অভিনেত্রী নন। অভিনয়ে বিশেষ দেখা মেলে না তাঁর। কিন্তু আর পাঁচজন অভিনেত্রী এখন যে জায়গায় রয়েছেন তার থেকে উরফির জনপ্রিয়তা, অবস্থান অনেকটাই ভাল। আর এই পুরোটাই নিজের দমে করেছেন তিনি। সে ট্রোলড হয়েই হোক না কেন।
নিজের পোশাক পরিচ্ছদের জন্য উঠতে বসতে কথা শুনতে হয় তাঁকে। উদ্ভট ফ্যাশন সেন্সের জন্য বেশ খ্যাতি আছে উরফির। নেটপাড়ায় ব্যাপক ট্রোল হলেও আলাদা একটা ফ্যানবেস রয়েছে তাঁর। আর সেই ফ্যানবেসে উরফির জনপ্রিয়তা যে খুব একটা কম নয় সেটা মানতেই হবে।
কিন্তু উরফির এই বোল্ড, সপ্রতিভ ভাবমূর্তির পেছনে যে একটা ভয়াবহ অতীত রয়েছে তা অনেকেই জানেন না। উরফি নিজেই এ ব্যাপারে এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছিলেন। আঙুল তুলেছিলেন নিজের বাবার দিকে। ছোটবেলায় বাবার হাতে নাকি শারীরিক এবং মানসিক ভাবে হেনস্থা হতে হয়েছিল উরফিকে। ১৫ অক্টোবর অভিনেত্রীর জন্মদিনে সেই কিসসা।
অভিনয় দিয়ে কেরিয়ার শুরু করলেও অভিনেত্রী হিসাবে তেমন জনপ্রিয়তা পাননি উরফি। খ্যাতি পেতে বিগ বস OTT তে পা রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু সেখান থেকেও খালি হাতে ফিরতে হয় উরফিকে। তবে তারপরেই নিজের মাথা খাটিয়ে অদ্ভূত সব পোশাক ডিজাইন করে লাইমলাইট কেড়ে নেন তিনি। কিন্তু এতদূর পথ তিনি নিজের চেষ্টাতেই এসেছেন।
এক সাক্ষাৎকারে উরফি বলেছিলেন, নিজের পরিবারের সমর্থন কখনো পাননি তিনি। বরং সবসময় তাঁকে বরাবর দোষারোপ করা হয়েছে। এমনকি উরফি জানান, তাঁর আত্মীয়রা তাঁকে ‘পর্নস্টার’ পর্যন্ত বলতে ছাড়েননি। তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে খোঁজখবর করা হত। সবাই ভাবত তিনি হয়তো কোটি কোটি টাকার মালকিন।
এখানেই শেষ নয়। নিজের বাবার ব্যাপারেও বিষ্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন উরফি। তাঁর বাবা শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার করতেন মেয়ের উপরে। দু বছর ধরে চলেছিল এই অত্যাচার। প্রতিনিয়ত নোংরা নোংরা কথা শুনতে হত তাঁকে। নিজের নাম ভুলে যেতে বসেছিলেন উরফি।
তিনি বলেন, “আমার প্রতিবাদ করার সুযোগ ছিল না। চুপচাপ সব সহ্য করতে হত। আমাকে বলা হত, মেয়েদের পছন্দ অপছন্দ বলে কিছু থাকতে নেই। শুধু পুরুষরাই সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কিন্তু বাড়ি ছাড়ার পরেই আমার নিজস্ব মতামত তৈরি হয়।” নিজের দুই বোনকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন উরফি। তারপর থেকেই নিজের পায়ে দাঁড়ানোর লড়াই শুরু হয় তাঁর।