বাংলাহান্ট ডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরেই টানটান উত্তেজনার পর্ব চলছে ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’তে (ei poth jodi na sesh hoy)। ঊর্মির (urmi) সংসার ভাঙতে ভুয়ো শ্লীলতাহানির মামলায় সাত্যকিকে (satyaki) ফাঁসিয়ে দিয়েছে তারই কাকা, মামণি। স্বামীকে নির্দোষ প্রমাণ করতে নিজেই আইনজীবী হয়ে লড়াইতে নেমেছে ঊর্মি। টুকাইবাবুকে প্রায় নির্দোষ প্রমাণ করে দিতে দিতেও ফের বিশ্বাসঘাতকতার মুখে পড়েছে ঊর্মি।
সম্পত্তি হাতাতে ও ঊর্মি সাত্যকিকে আলাদা করে দিতে নোংরা ষড়রন্ত্র করেছে ঊর্মির কাকা ও মামণি। সাত্যকিকে মিথ্যে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ফাঁসিয়ে আদালত পর্যন্ত টেনে এনেছে তারা। এদিকে সাত্যকির জন্য কোনো উকিল লড়তে রাজি না হওয়ায় আইন পাশের বিদ্যে কাজে লাগিয়ে নিজেই সওয়াল জবাবে নামে ঊর্মি।
তার উপস্থিত বুদ্ধির কাছে কাছে বারবার হেরে ভূত হতে থাকেন দুঁদে আইনজীবী মিস্টার বাসুও। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঊর্মির কাকাকে দিয়েই অপহরণ করানো হয় ঊর্মিকে। কিন্তু টুকাইবাবুকে বাঁচানোর তাগিদে অপহরণকারীদের হাত থেকে পালিয়ে আসে সে। পালানোর সময়েই ঊর্মির দেখা হয়ে যায় নিষিদ্ধ পল্লীর এক বাসিন্দা নাজমার সঙ্গে।
ঘটনাচক্রে এই নাজমা সাত্যকি ও ঊর্মি দুজনেরই পূর্ব পরিচিত। অভিযোগকারিণী মোনার ছবি দেখে নাজমা দাবি করে যে এই মোনালিসা আসলে তাদেরই একজন। মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে নিজের আখের গোছায় সে। আদালতে দাঁড়িয়ে মোনার বিরুদ্ধে সাক্ষী দেয় নাজমা। কিন্তু জিতের এত কাছাকাছি পৌঁছেও ফের ধাক্কা খেতে হয় ঊর্মিকে।
https://www.instagram.com/tv/CY8K803pswj/?utm_medium=copy_link
বাসু জানান তাঁর কাছে এক মোক্ষম সাক্ষী রয়েছে সাত্যকির বিরুদ্ধে। আগামী পর্বে দেখা যাবে এই সাক্ষী হল রিনি (rini), যে কিনা ছোট থেকে সরকার বাড়িতে বড় হয়ে উঠেছে। শুধু তাই নয়, টুকাইদার প্রতি তার বিশেষ ভাললাগার জন্য ঊর্মিরও বহুবার ক্ষতি করতে চেয়েছে সে।
সদ্য একটি প্রোমো প্রকাশ্যে এসেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে, রিনির এই বিশ্বাসঘাতকতার জন্য সরকার বাড়ির সকলে তাকে ঘিরে ধরেছে। সাত্যকি পর্যন্ত বিশ্বাস করতে পারছে না রিনিতার এই কাজ। শেষে ঊর্মি এসে সবার সামনে রিনিকে চড় মেরে বলে, সবার সামনে তার পর্দাফাঁস করবে সে। প্রোমো দেখে উচ্ছ্বসিত দর্শকরা। অনেকদিন ধরেই রিনির পর্দাফাঁস দেখার অপেক্ষায় ছিলেন তারা।