বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আমেরিকার (America) রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) চীনের (China) সাথে সবরকম বাণিজ্যিক সম্পর্ক শেষ করার সঙ্কেত দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমেরিকার কাছে চীনের থেকে সম্পূর্ণ আলদা হয়ে যাওয়ার বিকল্প আছে। ট্রাম্প একটি ট্যুইট করে আমেরিকার বাণিজ্যিক প্রতিনিধি রবার্ট লাইটাহাইজার দ্বারা দেওয়া বয়ানের কথা উল্লেখ করেন। রবার্ট লাইটাহাইজার একটি বয়ানে বলেছিলেন যে, বিশ্বের সবথেকে বড় অর্থনীতিকে আলদা করা সম্ভব হবেনা।
It was not Ambassador Lighthizer’s fault (yesterday in Committee) in that perhaps I didn’t make myself clear, but the U.S. certainly does maintain a policy option, under various conditions, of a complete decoupling from China. Thank you!
— Donald J. Trump (@realDonaldTrump) June 18, 2020
ট্রাম্প ট্যুইট করে লেখেন, ‘এটি অ্যাম্বাসাডার রবার্ট লাইটাহাইজার এর ভুল না, আমিই হয়ত নিজেই স্পষ্ট করে বলেছিলাম না, কিন্তু চীনের সাথে সম্পূর্ণ ভাবে আলাদা হতে আমারিকার কাছে নিশ্চিত রুপে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে নীতির বিকল্প মজুত আছে।” ট্রাম্প এই ট্যুইট আমেরিকার বিদেশ মন্ত্রী মাইক পম্পিও আর চীনের আধিকারিক ইয়াং জিএচি-এর সাক্ষাৎ এর ঠিক একদিন পরেই করেন।
আপনাদের জানিয়ে দিই, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বরবারই করোনা ভাইরাসের জন্য চীনকে স্পষ্ট রুপে দায়ি করে আসছেন। উনি বরাবর অভিযোগ করে বলেছেন যে চীনই গোটা বিশ্বে করোনার ছড়িয়েছে আর এর জন্য চীন কড়া শাস্তিও পাবে। তবে শুধু আমেরিকাই না করোনার ভাইরাসের জন্য চীনকে দায়ি মানছে বিশ্বের আরও কয়েকটি শক্তিধর দেশ। আর সেগুলোর মধ্যে জার্মানির নামও আছে।
আরেকদিকে সীমান্ত নিয়ে চীন আর ভারতের মধ্যে চলা উত্তেজনার কারণে ভারতের সমস্ত সরকারি প্রকল্প থেকে চীনের কোম্পানিকে ছাঁটাই করা হচ্ছে। প্রথমে বিএসএনএল দিয়ে শুরু হয়েছিল, আর এবার রেলও চীনের সাথে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। এরপর ফলে অনেকটাই চাপে পড়েছে বেজিং। এছাড়াও আরও একটি খবর সামনে আসছে। আর সেটা হল, ভারত পাকিস্তানের মতই চীনের পণ্যের উপর শুল্ক বাড়াতে পারে। আর যদি ভারত সরকার এই পদক্ষেপ নিয়ে নেয় তাহলে চীনের সমস্যা আরও দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে।