মায়নমারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে আমেরিকা, রাজনৈতিক অস্থিরতার পেছনে চীনের ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মায়নমারের (myanmar) শাসন ক্ষমতা মায়নমারের সেনাবাহিনীর (myanmar army) হাতে চলে গিয়েছে। আগামী ১ বছর সেনাবাহিনীর হাতে থাকবে এই ক্ষমতা। কিন্তু এরপর দক্ষিণ এশিয়ার দেশের উপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চাইছে আমেরিকা (america)। মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বিডেন জানিয়েছেন, মায়নমারের এই পরিস্থিতির পেছনে চীনের হাত রয়েছে। নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আলোচনা করে জানিয়ে দেওয়া হবে।

বর্তমান সময়ে মায়নমারের প্রধান সেনা প্রধান রয়েছেন মিন ওং হ্লেনিং, যাকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াং ইয়ি ভাই সম্বোধন করেছেন। কিন্তু এদিকে মায়নমারের শাসন ক্ষমতা সেনাদের হাতে এলেও, মিন ওং হ্লেনিং-র চলতি বছরই অবসর নেওয়ার কথা রয়েছে। তবে মিন ওং হ্লেনিং-র বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা মুসলমানদের গণহত্যার অভিযোগ এনেছে আমেরিকা এবং ব্রিটেনের মত শক্তিশালী দেশ।

Myanmar Coup

এদিকে আবার ”In the Dragon’s Shadow: Southeast Asia in the Chinese Century” বইয়ের লেখক সেবাস্তিয়ান স্ট্র্যাঙ্গি, মায়নমারের উপর চীনা আধিপত্য বিস্তার লাভের বিষয় স্বীকার করলেও, আমেরিকার হস্তক্ষেপ কিছুতেই মানতে নারাজ। ১৯৯০ সাল থেকেই মায়নমারের উপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা জারির কারণে নাগরিকদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

চীন বর্তমানে চুপচাপ থেকে মায়নমারকে বন্ধু বলে সকলে সমঝোতার কথা বললেও, আমেরিকার ভাবমূর্তি নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। মায়নমারের ব্যবসায়িক সম্পর্ক চীনের সঙ্গে রয়েছে এক তৃতীয়াংশ ভাগ, যা আমেরিকার থেকে প্রায় ১০ গুণ। অন্যদিকে মায়ানমারে চীনের বিনিয়োগ প্রায় ২০.৫ বিলিয়ন ডলার। আবার মায়নমারের সেনাবাহিনী সরকারের ২৪ জন পুরনো মন্ত্রীকে সরিয়ে সেই জায়গায় নতুন ১১ জনকে নিয়োগ করেছে।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর