বাংলা হান্ট ডেস্ক: মহাকাশ এবং মহাজাগতিক বিষয়গুলিকে নিয়ে বহু বছর ধরেই গবেষণা করে আসছেন বিজ্ঞানীরা। যার ফলে মাঝে মাঝেই নতুন নতুন সব রহস্য উন্মোচিত হয়। যা খুলে দেয় নতুন দিগন্তও। এছাড়াও, পৃথিবীর বিকল্প হিসেবে বসতি স্থাপনের জন্য অন্যান্য গ্রহগুলির দিকেও নজর রয়েছে বিজ্ঞানীদের। এমনকি, ইতিমধ্যেই মঙ্গল গ্রহে মানুষের বসতি স্থাপনের জন্য একাধিক উদ্যোগ গৃহীত হয়েছে।
এছাড়াও, পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদ কে নিয়েও বিজ্ঞানীদের আগ্রহের শেষ নেই। যে কারণে একের পর এক অভিযান চালানো হয় চাঁদে। তবে, এবার এই চাঁদ নিয়েই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। এমনকি, এই তথ্য ইতিমধ্যেই হইচই ফেলে দিয়েছে সমগ্র বিশ্বের বিজ্ঞানী মহলেও।
সম্প্রতি, আমেরিকার একটি গোয়েন্দা রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে যে, একাধিক বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পাশাপাশি চাঁদে পরমাণু বিস্ফোরণের ছক ছিল মার্কিন বিজ্ঞানীদের। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমত ঘুম উড়েছে সকলের। যদিও, জানা গিয়েছে যে, শেষ পর্যন্ত সেই পরিকল্পনা মাঝপথে ভেস্তে যায়। আর যার ফলে এড়ানো গিয়েছে এই মহাপ্রলয়।
কেন চাঁদে পরমাণু বোমা বিস্ফোরণের কথা ভেবেছিলেন বিজ্ঞানীরা?
জানা গিয়েছে যে, এই মিশনটি ছিল আমেরিকার মুন মিশনের অন্তর্গত। পাশাপাশি, এটির পোশাকি নাম দেওয়া হয় অ্যাডভান্সড অ্যারোস্পেস থ্রেট আইডেন্টিফিকেশন প্রোগ্রাম (AATIP)। এই মিশনে এমন কিছু পরিকল্পনা করা হয়েছিল যা এক কথায় অবিশ্বাস্য! মূলত, বেশ কিছু অত্যাধুনিক পরীক্ষার পরিকল্পনা করা হয় এই মিশনে। যার মধ্যে ছিল ট্রাভার্সেবল ওর্মহোলস, ইনভিজিবিলিটি ক্লোক এবং অ্যান্টিগ্র্যাভিটি ডিভাইসের ব্যবহার।
তবে, সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই মিশনের অন্তর্গত ছিল পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটিয়ে চাঁদে টানেল তৈরি করা। আর এর জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করা হয় বলেও জানা গিয়েছে।
কিভাবে সামনে এল ওই চাঞ্চল্যকর তথ্য?
আমাদের দেশে যেমন তথ্যের অধিকারের আইন রয়েছে ঠিক তেমনি আমেরিকায় রয়েছে তথ্যের স্বাধীনতার আইন। সেই আইনের ভিত্তিতেই এক প্রাক্তন সেনেট সদস্য ওই মিশনের বিষয়ে তথ্য জানতে চান। আর তারপরেই অ্যাডভান্সড অ্যারোস্পেস থ্রেট আইডেন্টিফিকেশন প্রোগ্রামের তথ্য সামনে এসেছে।
জানা গিয়েছে যে, তথ্যের স্বাধীনতার আইনে মোট ১৬০০ পৃষ্ঠার নথি প্রকাশ্যে এসেছে। আর সেখানেই পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে তুলে ধরা হয়েছে সমগ্ৰ বিষয়টি। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, অ্যাডভান্সড অ্যারোস্পেস থ্রেট আইডেন্টিফিকেশন প্রোগ্রাম একটি গোপন সংস্থা। এদের সম্পর্কে প্রথম বিস্তারিত জানা যায় ২০১৭ সালে। এদিকে, চাঁদে গবেষণার কাজ করতে আন্তর্জাতিক অনুমতির প্রয়োজন হয়। এমতাবস্থায়, সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা কিভাবে চাঁদে পরমাণু বিস্ফোরণের মতো ভয়াবহ কাজের পরিকল্পনা করলেন সেই নিয়েও উঠছে একাধিক প্রশ্ন।