বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দক্ষিণ চীন সাগরে (South China Sea) যুদ্ধ অভ্যাস করা আমেরিকার নৌসেনার (America Navy) গোয়েন্দা বিমান লাগাতার তিনদিন ধরে চীনকে (China) অতিষ্ঠ করে রেখেছে। প্রসঙ্গত, এই নজরদারি বিমান চীনের একদম পাশ থেকে নজরদারি চালিয়ে চলে যাচ্ছে, আর চীন জেনেশুনেও কিছু করতে পারছে না। আরেকদিকে, চীনের সরকারি মুখপাত্র সংবাদ মাধ্যম গ্লোবাল টাইমস (Global Times) জানিয়েছে যে, এটি খুবই বিপদজনক সঙ্কেত।
গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে যে, আমেরিকার নজরদারি বিমান বিগত তিনদিন ধরে দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের এলাকার আশেপাশ দিয়ে টহল দিচ্ছে। ওই সংবাদমাধ্যম চীনের সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতামত প্রকাশ করে বলেছে যে, আমেরিকার এই পদক্ষেপ চীনের যুদ্ধ জাহাজ আর হাতিয়ার গুলোর পরিদর্শন করা, যেগুলো দক্ষিণ চীন সাগর আর তাইওয়ানের দিকে আছে।
চীনা সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে যে, আমেরিকার EP-3E নজরদারি বিমান বুধবার বাশী চ্যানেলে দেখা যায়। সেখান থেকে ওই বিমান দক্ষিণ চীন সাগরের গুয়াংডং প্রান্তের দিকে যায়। এক সময়ে ওই নজরদারি বিমান গুয়ানগডং থেকে মাত্র ৫১.৬৮ নটিক্যাল মাইল দূরত্বে ছিল। গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে যে, লাগাতার তিনদিন আমেরিকার নজরদারি বিমান চীনের পাশ দিয়ে গেছে।
চীনের বিশেষজ্ঞদের দাবি অনুযায়ী, আমেরিকার সৈন্য সংঘর্ষে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য গোপন তথ্য সংগ্রহ করছে। গ্লোবাই টাইমস জানাচ্ছে যে, আমেরিকার EP-3E আর RC-135 বিমান ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক সিগন্যাল আর সঞ্চার সিগন্যাল গুলোকে ক্যাচ করে সেগুলোর বিশ্লেষণ করে চীনের হাতিয়ার গুলো নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যোগাড় করে। চীনের সংবাদ মাধ্যম দাবি করে যে, RC-135 মিসাইলের খোঁজ করতেও সক্ষম।
উল্লেখ্য, গুয়াংডং চীনের অনেক যুদ্ধ জাহাজ দাঁড়ানোর জায়গা। এছাড়াও পিএলএ দক্ষিণ থিয়েটার কম্যান্ডের হেডকোয়ার্টারও গুয়াংডং আর গুয়াংঝোতে আছে। পিএলএ-এর দক্ষিণ কমান্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে বিবেচিত এবং বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের স্বার্থ রক্ষার দায়িত্ব রয়েছে তাদের কাঁধেই। তাইওয়ানের দিকে নজর রাখারও দায়িত্ব রয়েছে এদের কাঁধেই।