বাংলা হান্ট ডেস্ক : তীব্র তাপবাহে (Heat Wave ) পুড়ছে আমেরিকা (America) থেকে ইউরোপ (Europe)। কোথাও ৪০ তো কোথাও ৫০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে পশ্চিমা দেশগুলির তাপমাত্রা। স্ট্রোকে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অসুস্থতাও। পরিস্থিতি সামাল দিতে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে সরকারের তরফ থেকে। তীব্র গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত শুধুমাত্র আমেরিকারই এক কোটি মানুষের।
এই আবহে উষ্ণতা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনল আমেরিকার ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস। যা দেখার পর রীতিমতো চোখ কপালে উঠেছে আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের। সংস্থাটি জানিয়েছে, আগামী দিনে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই ক্যালিফর্নিয়া এবং টেক্সাসের তাপমাত্রায় টেকা দায় হয়ে উঠেছে মানুষের।
পাশাপাশি আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, ক্যালিফর্নিয়ার ডেথ ভ্যালির তাপমাত্রা ৫৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই ক্যালিফর্নিয়ার কিছু কোনায় তাপমাত্রা পৌঁছে গেছে ৪৮ ডিগ্রির কোঠায়। শুধু কী তাই, দক্ষিণ ক্যালিফর্নিয়ার একাংশ তো দাবানলেও পুড়ছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ৩ হাজার একর জমি চলে গেছে দাবানলের কবলে।
এদিকে চরম তাপপ্রবাহের সঙ্গে লড়াই করছে কানাডাও। সেখানেও প্রায় এক কোটি হেক্টর এলাকা দাবানলের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমেরিকার শহরগুলির মধ্যে অ্যারিজোনায় সূর্যদেবের প্রভাব সবচেয়ে বেশি। আজ টানা ১৬ দিন রাজধানী ফিনিক্সের তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রির নীচে নামার নামগন্ধ নেই। গত শনিবার সেই তাপমাত্রা এক লাফে পৌঁছে গেছে ৪৫ ডিগ্রিতে।
ইউরোপের ছবিও খানিকটা একইরকম। ইতিমধ্যেই রোম, বলগনা এবং ফ্লোরেন্স-সহ ১৬টি শহরে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আগামী দিন চরম তাপপ্রবাহের জন্য বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে ইটালির আবহাওয়া দফতর। রোমের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়াতে পারে বলে খবর। আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত তা বৃদ্ধি পেয়ে ৪৩ ডিগ্রি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এদিকে সিসিলি এবং সারডিনিয়ার তাপমাত্রা ছুঁতে পারে ৪৮ ডিগ্রির ঘর। তাপপ্রবাহের কারণে, গ্রিসের আকর্ষণীয় পর্যটনস্থল আথেন্স অ্যাক্রোপলিস রবিবার বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা করেছে সরকার। নিস্তার পায়নি স্পেন-ও। অধিকাংশ জায়গাতেই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই সরকারের তরফ থেকে রেড সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে বলে খবর।