বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভারত (India) তাদের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্য দেশের হস্তক্ষেপ পছন্দ করে না। কিন্তু বারবার CAA বিষয়কে নিয়ে অন্য দেশ মন্তব্য করেই চলেছে। এই প্রসঙ্গে আমেরিকার (America) USCIRF এর নামও উঠে এসেছে।
অন্তরাস্ট্র ধার্মিক স্বতন্ত্রতাতে আমেরিকায় বসবাসকারী হিন্দুদের একটি সংস্থা ‘হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশন’, ভারতের CAA বিষয় নিয়ে ভুল মন্তব্য করা থেকে আমেরিকাবাসিকে বিরত থাকার বার্তা দিয়েছে। ভারতের CAA প্রসঙ্গে অন্তরাস্ট্র ধার্মিক স্বতন্ত্রতাতে আমেরিকার USCIRF বলেন, ‘দেশের এই পরিস্থিতিতে মুসলিমদের মতাদর্শ ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে’। কিন্তু তাদের এই বয়ান কিন্তু সম্পূর্ণ রূপে ভুল। কারণ CAA তে এমন কোন আইন নেই যার দরুন অন্য কারোর মতাদর্শ ছিন্ন হয়।
সমগ্র বিশ্ব জানে CAA কোন নাগরিকত্ব ছিনিয়ের নেওয়ার জন্য তৈরি করা আইন নয়। পাকিস্তান (Pakistna), বাংলাদেশ (Bangladesh) এবং আফগানিস্তানে (Afganistan) থাকা সংখ্যা গরিষ্ঠ নাগরিকদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য এই আইন তৈরি করা হয়েছে।
একদিকে যেমন পাকিস্তান এই CAA নিয়ে ভূল তথ্য প্রচার করছে, তেমনই আমেরিকার USCIRF সমগ্র বিশ্বকে পাকিস্তানের সঙ্গে ভূল বোঝানোর চেষ্টা করছে। আমেরিকার HAF এর নির্দেশক সমীর কালদা বলেন, ‘এটা খুবই খারাপ বিষয় যে আমেরিকার USCIRF ভারতের CAA প্রসঙ্গে নাগরিকদের মধ্যে ভ্রান্ত ধারণার সৃষ্টি করাচ্ছে। আমেরিকার কিছু সংস্থার ভুল বোঝানোর কারণে ভারতীয় নাগরিকদের উপর এর কুপ্রভাব পড়ছে’।
ভারত সরকারের এই নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে নতুন আইন প্রবর্তন করেন। যার ফলে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের সংখ্যালঘুদের এক আশার আলো দেখায়। নতুন আইন মোতাবেক বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে আগত হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ এবং পার্সী নাগরিকদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। কিন্তু ভারতের দিল্লী প্রসঙ্গে আমেরিকার এই সংস্থার টিপ্পুনি প্রমাণ করে দেয় যে CAA বিষয়ে তারা অবগত নয়। এর আগেও CAA প্রসঙ্গে ভারত ইউরোপকে কড়া ভাষায় জবাব দিয়ে বলে এটা ভারতের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার, তাতে তাদের নাক না গলানোই শ্রেয়। ভারত সবসময় অন্য দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না। কিন্তু এখন যারা ভারতের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে, ভারত তাঁদেরকে কড়া ভাষায় জবাব দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছে।