বাংলা হান্ট ডেস্ক : লাউডস্পিকারের জের! উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) হরিদ্বারে (Haridwar) শব্দ দূষণের কারণে ৭টি মসজিদকে জরিমানা করল প্রশাসন। পাথারি থানা এলাকার অনেক গ্রামেই মসজিদে সীমিত আকারে আজানের জন্য লাউডস্পিকার বাজানোর জন্য সতর্ক করা হয়। এরই সঙ্গে পাথারি থানা ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের রিপোর্টের ভিত্তিতে এসডিএম পুরান সিং রানা সাতটি মসজিদকে পাঁচ হাজার করে টাকা জরিমানা করেছেন। শব্দদূষণের কারণে দুটি মসজিদকে সতর্কও করা হয়েছে। এরপরই, প্রশাসনের এই পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন মুসলিম ধর্মীয় নেতারা।
এসডিএম পুরন সিং রানা জানান যে পাথরি থানার অন্তর্গত কাতারপুর, গুর্জার বস্তি, ধনপুরা ধরতা, নাসিরপুর কালান এবং ইব্রাহিমপুর কালানের মতো গ্রামের মসজিদগুলিতে উচ্চস্বরে লাউডস্পিকার বাজানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর পাশাপাশি, অনুমতি ছাড়াই কিছু মসজিদে লাউডস্পিকার লাগানো হয়। পাথরি থানা এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের দল ঘটনাস্থলে তদন্ত শুরু করে। দেখা যায় মসজিদগুলি মানছে না কোনও নির্দেশিকাই। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ৭টি মসজিদকে পাঁচটি করে জরিমানা করা হয়। সতর্ক করা হয় দুটি মসজিদকে।
মসজিদের উপর প্রশাসনের পদক্ষেপের বিরোধিতা করছে মুসলিম সমাজ। জ্বালাপুরে অবস্থিত একটি মসজিদের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আরিফ বলেন, মসজিদ থেকে শব্দ দূষণ হচ্ছে না, যানবাহন, মেশিন ও ডিজে থেকেই বেশি শব্দ দূষণ হচ্ছে। প্রশাসনের উচিত আগে সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। কিন্তু মসজিদে জরিমানা করা ঠিক হয়নি।
2022 সালে, ধনপুরার বাসিন্দা অমিত কুমার এবং তালিব হাসান নামে দুই ব্যক্তি পাথারি থানা এলাকার কয়েকটি মন্দির ও মসজিদে আজান ও আরতি বাজানোয় বিরক্ত হয়ে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। এতে বলা হয়, উভয় ধর্মীয় স্থানেই প্রতিযোগিতা চলছে, যার কারণে সাধারণ মানুষের শান্তি বিঘ্নিত হয়েছে। আবেদনের শুনানির পর উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, কোনও ধর্মীয় স্থানে অনুমতি ছাড়া লাউডস্পিকার করা যাবে না। সেই নির্দেশ অমান্য করায় জরিমানা করা হল মসজিদগুলিকে।