বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সমাজের অদৃশ্য বেড়াজাল ভেঙ্গে, বাঁধা নিষেধের গণ্ডি টপকে একধাপ এগিয়ে গেলেন রায়গঞ্জের ঊষসী চক্রবর্তী (ushasi chakraborty)। সম্প্রতি স্যোশাল মিডিয়ায় তাঁর করা একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে তোলপড় হয়ে রয়েছে নেটদুনিয়া। একদল ঊষসীর কাজকে সম্মান এবং শ্রদ্ধা জানিয়েছে, অন্যদল তাঁর সমালোচনায় ঊষসীকে রক্তাক্ত করে তুলেছে।
বর্তমান সমাজ পিতৃতান্ত্রিক হওয়ায়, বৈদিক যুগে মাতৃতান্ত্রিক সমাজের অস্তিত্ব প্রায় ভুলতে বসেছেন অনেকই। তখনকার দিনে কিন্তু আজকের মত, মেয়েদের অধিকার খর্ব করা হত না, বেদ পাঠে নিষেধাজ্ঞা ছিল না। কিছু মানুষ নিজেদের সুবিধার্থে এখন মেয়েদের পায়ের তলায় পিষিয়ে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এসবের মধ্যেও এক চিরাচরিত প্রথা ভেঙ্গে এক নতুন সূর্যোদয়ের সূচনা করলেন ঊষসী চক্রবর্তী।
https://www.facebook.com/ushasi67/posts/2779999728884051
কিছুদিন আগেই আর পাঁচজনের মত তাঁর বাড়িতেও বাগদেবীর আরাধনায় সরস্বতী পুজো হয়। তবে অন্য কোন ব্রাহ্মণ ডেকে নয়, নিজের বাড়ির পুজো নিজেই করেন ঊষসী। সেই পুজোর কিছু ছবি এবং সেইসঙ্গে কয়েক লাইন লেখাও পোস্ট করেন স্যোশাল মিডিয়ায়। যা নিয়েই তোলপাড় শুরু হয়।
ঊষসী লেখেন, জীবনে এই প্রথমবার তিনি সাম বেদ মেনে নিজের বাড়ির সরস্বতী পুজো করলেন। এর আগে অবশ্য তিনি লক্ষ্মী পুজোও করেছেন বাড়িতে। বাবার কাছ থেকে শিখেই সমস্ত নিয়ম মেনেই তিনি পুজো করেছেন বলেও জানিয়েছেন। ঊষসী আরও লেখেন, তিনি প্রথম থেকেই কুসংস্কারের নিয়ম ভাঙার পথে হেঁটেছেন। তাঁর বাড়ির মহিলারা কখনও পৌরোহিত্য করার অধিকার না পেলেও, তিনি কিন্তু পৌরোহিত্য করেছেন। তাই তাঁর বক্তব্য, ‘পুরোহিত হওয়ার অধিকার শুধু ছেলেদের থাকে না। পুজো করতে গেলে শুদ্ধ মন আর ইচ্ছেটাই যথেষ্ট’।
এতদূর পর্যন্ত সব ঠিকঠাক থাকলেও, ঊষসীর শেষ লাইনটা নিয়েই যত বিরোধ বেঁধে যায়। শেষে তিনি লেখেন, তাঁর মাসিক চলার দ্বিতীয় দিনেই তিনি সরস্বতী পুজো করেছেন। আর ঊষসীর এই পোস্ট দেখেই সমালোচনার ঝড় ওঠে স্যোশাল মাধ্যমে।