ঊষসী কাণ্ডে দু’দিনেই জামিনে মুক্ত অভিযুক্তরা

 

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ঊষসী-কাণ্ডে দু দিনেই পেয়ে গেল অভিযুক্তরা। দু’দিন পর অর্থাত্ শুক্রবার তাদের জামিনে মুক্তি দিলেন আলিপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।

ঊষসী সেনগুপ্তকে হেনস্থা করার দাবিতে মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয় শেখ রোহিত, ফরদিন খান, শেখ সাবির আলি, শেখ গনি, ইমরান আলি, শেখ ওয়াসিম ও শেখ আতিফকে। বুধবার তাদের জামিন না মঞ্জুর করে আদালত। কিন্তু দুদিনের মাথায় শুক্রবার জামিন পেয়ে গেল সব অভিযুক্তরাই। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিলো ভাঙচুর, শ্লীলতাহানির ধারায়।ঊষসী র শ্লীলতহানির অভিযোগ ও ছিলো তাদের বিরুদ্ধে। এদিন অভিযুক্তরা নিজেদের বয়ান বদল করেছে। তাদের জেরা করে খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে বাকিদের। জামিন পেলে তদন্তের গতি বাধাপ্রাপ্ত পাবে।

88575 img 20190622 wa0002

ঘটনাটি ঘটে সোমবার রাতে। সেদিন জেডব্লু ম্যারিয়েট থেকে উবের ধরে বাড়ি ফিরছিলেন প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স ঊষসী সেনগুপ্ত। ঠিক ১১টা ৪০ নাগাদ এক্সাইড মোড়ে তাঁর গাড়ির উপরে চড়াও হয় কয়েকজন বাইক আরোহী। চালককে মারধর করতে থাকে তারা। ময়দান থানার পুলিসের কাছে যাওয়া হলেও সেখান সাহায্য মেলেনি বলে দাবি ঊষসীর। প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া অভিযোগ করে যে দুষ্কৃতীরা তাকে বাড়ি পর্যন্ত তাড়া করে। এরপর চারু মার্কেট থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করার চেষ্টা করলেও করতে পারেননি ঊষসী। সেখান থেকে তাঁকে ভবানীপুর থানায় যেতে বলা হয়। গভীর রাত পর্যন্ত নানা কথা বার্তা বচসার পর অবশেষে চারু মার্কেট থানায় দায়ের হয় অভিযোগ।

রাতের কলকাতায় বিভীষিকা ঊষসী ফেসবুক পোস্ট করার পরই শুরু হয় তোলপাড়। যাবতীয় অভিযোগের তদন্ত করার জন্য বুধবারই কমিটি গড়ে ফেলে কলকাতা পুলিস। এই কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার এক আধিকারিক। সেই কমিটি নির্দেশেই সাসপেন্ড করা হয়েছে চারু মার্কেট থানার ডিউটি অফিসার পীযূষ পালকে। ময়দান থানার অতিরিক্ত সাব ইন্সপেক্টর পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ভবানীপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর মেনন মজুমদারকে একই সাথে শো কজ করে এই কমিটি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শারীরিক নিগ্রহ ও শ্লীলতাহানির মামলাও দায়ের করা হয়। কিন্তু এত কিছুর পরও দুদিনের মাথায় জামিনে মুক্ত হয় দুষ্কৃতীরা।


সম্পর্কিত খবর