বাংলাহান্ট ডেস্ক: টাকা চেয়ে প্রাণনাশের হুমকির শিকার ওস্তাদ রশিদ খান (ustad rashid khan)। বাড়ি থেকে বেরোলেই স্নাইপার দিয়ে গুলি করা হবে, শিল্পী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের এমনি হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বারবার। পুলিসের দ্বারস্থ হতেই এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে শিল্পীরই দুই প্রাক্তন কর্মী।
ঘটনার সূত্রপাত হয় গত ৯ অক্টোবর। এক অজানা নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপ কল করে রশিদ খানকে হুমকি দেওয়া হয়। বলা হয় টাকা না দিলেই খুন করা হবে। প্রথমে নাকি শিল্পীর ছেলে আরমানকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। দুষ্কৃতীদের দাবি ছিল ৫০ লক্ষ টাকা। না দিলেই খুন করা হবে বলে হুমকি দিচ্ছিল তারা।
প্রথমে হুমকি ফোনে তেমন আমল দেননি রশিদ খান। কিন্তু বারংবার টাকা চেয়ে ফোন করতে থাকে দুষ্কৃতীরা। টাকা দেওয়া না হলে হঠাৎ করেই তারা ৫০ লক্ষ থেকে ২০ লক্ষে কমিয়ে আনে টাকার পরিমাণ। আরো হুমকি দেওয়া হয় রশিদ খানের নাকতলার বাড়ির সামনে স্নাইপার বসানো আছে। বাড়ি থেকে কেউ বেরোলেই গুলি করা হবে। ড্রোনের মাধ্যমেও খুনের হুমকি দেওয়া হয়।
এরপরেই আতঙ্কিত হয়ে শিল্পীর স্ত্রী ও বড় মেয়ে পুলিসের দ্বারস্থ হন। নেতাজিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। স্নাইপার, ড্রোন দিয়ে খুনের ছক শুনে পুলিসও প্রথমে ঘাবড়ে গিয়েছিল। শিল্পীর বাড়ির সামনে বাড়ানো হয় নিরাপত্তা। তদন্তে নামে লালবাজারের গুণ্ডাদমন শাখা।
জানা গিয়েছে, পরিচয় লুকাতে নম্বর মাস্কিং করে ফোন করেছিল দুষ্কৃতীরা। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। টাওয়ারের লোকেশন খুঁজে বের করে উত্তরপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করা হয় অবিনাশ কুমার ভারতী নামে রশিদ খানের প্রাক্তন গাড়ি চালককে। তাঁকে জেরা করতেই বেরিয়ে আসে মূল অভিযুক্তের নাম।
পুলিসের জালে ধরা পড়ে দীপক আউলিয়া। একসময় রশিদ খানের অফিসেই কাজ করত সে। কিন্তু নিয়ম না মানায় কাজ থেকে ছাড়িয়ে দেওয়া হয় তাকে। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান প্রতিশোধ নিতেই হুমকি ফোন করেছিল দীপক। তবে এর নেপথ্যে আর কোনো উদ্দেশ্য আছে কিনা বা আর কোনো ব্যক্তি জড়িত আছে কিনা সে বিষয়ে তদন্ত চলছে।