বাংলাহান্ট ডেস্ক: আর পাঁচটা দিনের থেকে আজকের দিনটা অনেকটাই আলাদা। প্রত্যেকটা বাঙালির কাছেই এই দিনটা অত্যন্ত কষ্টের। প্রতি বছর একরাশ মন খারাপ বয়ে নিয়ে আসে ২৪ জুলাই। আজই বাংলা চলচ্চিত্র জগৎ চিরতরে হারিয়েছিল তার মহানায়ক উত্তম কুমারকে (Uttam Kumar)। মাত্র ৫৩ বছর বয়সে অকালেই বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে অন্ধকার করে চলে যান তিনি।
১৯৮০ সালের শুট হয়েছিল উত্তম কুমারের জীবনের শেষ ছবি ‘ওগো বধূ সুন্দরী’র। ওই ছবির শুটিংয়ের সময়েই হৃদরোগে আক্রান্ত হন অভিনেতা। ২৪ জুলাই বেলভিউ ক্লিনিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মহানায়ক। তাঁর প্রয়াণে বিহ্বল হয়ে পড়েছিল গোটা ইন্ডাস্ট্রি, অগণিত গুণগ্রাহী, ভক্তরা। আর মহানায়িকা সুচিত্রা সেন? কী অবস্থা হয়েছিল তাঁর মনের? তিনি যে উত্তম কুমারের শেষ ইচ্ছাটা রাখতে পারেননি।
বাংলা সিনেমার চিরকালীন সেরা জুটির তকমা নিঃসন্দেহে পাবেন উত্তম-সুচিত্রা। পেশাগত জীবনে যতই চোরা প্রতিযোগিতা থাকুক না কেন, তাঁরা জুটি বাঁধলেই যেন পর্দায় ম্যাজিক হত। সেই ইন্দ্রজাল বিস্তৃত হয়েছিল দুজনের ব্যক্তিগত জীবনেও। গুঞ্জন বলে, বাস্তবিকই একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন উত্তম সুচিত্রা।
একসঙ্গে যেমন বহু ছবি করেছেন তাঁরা, শেষের দিকে আবার ভেঙে গিয়েছিল আইকনিক জুটি। শোনা যায়, উত্তম কুমারের প্রয়াণের পর তাঁর অভাবেই ইন্ডাস্ট্রি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন সুচিত্রা সেন। দুজনের মধ্যে এতটাই টান ছিল যে মহানায়কের শেষ ইচ্ছাটাও জড়িয়ে ছিল সুচিত্রার সঙ্গে।
শোনা যায়, ‘আলো আমার আলো’ ছবিতে সুচিত্রার অভিনয় দেখে এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন দেখা করার। কিন্তু চূড়ান্ত ব্যস্ততার কারণে সে সময়ে দেখা করতে পারেননি সুচিত্রা সেন। কথা দিয়েছিলেন পরে দেখা করবেন। তিনি কি আর তখন টের পেয়েছিলেন যে দেখা আর হবে না?
এক সপ্তাহ পরেই প্রয়াত হন উত্তম কুমার। অভিনেতার সঙ্গে শেষ দেখা না করতে পারার আক্ষেপ কোনোদিন যায়নি সুচিত্রা সেনের। মহানায়কের মৃত্যুর পরেই ধীরে ধীরে নিজেকে অভিনয় থেকে সরিয়ে নেন তিনিও।