বাংলাহান্ট ডেস্ক : আমরা জন্মদিনে অনেক উপহার এর কথা শুনেছি কিন্তু কখনো শুনেছেন যে জন্মদিনে উপহার দেওয়ার জন্য বেছে নিয়েছে নিজের শরীরে ট্যাটুকে। এই অভিভব পন্থায় শরীরে ট্যাটু করে নজির গড়লো ২৩ বছর বয়সী ইয়ামিন সিদ্দিকী। আপনারা অনেকেই নিশ্চয়ই, চলচ্চিত্র অভিনেতা বা ক্রিড়াবিদদের জন্য ক্রেজ দেখেছেন, তেমনি উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের জন্য এই ভক্ত বাকি ভক্তদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।
কিন্তু একজন রাজনীতিবিদ বা ইউপির মুখ্যমন্ত্রীর জন্মদিনে বিশেষ উপহার দেওয়ার জন্য নিজের শরীরে ট্যাটু করিয়ে নেওয়ার মত ঘটনা আগে শুনেছেন কি? হয়তো শোনেননি, সম্ভবত এই সব ঘটনা খুব কমই দেখা বা শোনা যায় । যোগী আদিত্যনাথের সরকার গঠনের পর তার কাজের ধরন এবং জনগণের জন্য নেওয়া পরিকল্পনা দেখে ইয়ামিন শুরু থেকেই মুগ্ধ, তাই ইয়ামিন সিদ্দিকী তার বুকে যোগী আদিত্যনাথের ট্যাটু করিয়েছিলেন, ২৩ বছর বয়সী ইয়ামিন যোগীকে তার আদর্শ বলে মনে করেন।
ফরুরখাবাদ ও ময়নপুরী জেলার সীমান্তে অবস্থিত একটি গ্রামে থাকেন ইয়ামিন সিদ্দিকী, তার জুতোর ব্যবসা আছে। সিদ্দিকী বলেছিলেন যে ট্যাটু করিয়ে দেওয়ার পরে তিনি তার বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়দের কাছ থেকে প্রচুর সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন, তবে এতে তার কিছু যায় আসে না। এই ছাড়াও তিনি আরো বলেন “আমি যোগী আদিত্যনাথের সাথে দেখা করতে চাই এবং তাকে আমার এই ট্যাটু দেখাতে চাই। তার প্রতি আমার অনেক ভালবাসা এবং শ্রদ্ধা আছে। ক্ষমতায় আসার পর থেকে তিনি উত্তরপ্রদেশকে বদলে দিয়েছেন তিনি। কোনও বৈষম্য রাখেনি তিনি। মুসলিমরা সব কল্যাণমূলক প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন।” সেইসঙ্গে তার সংযোজন, যোগী সরকারের স্কিম সব গরিবদের জন্য সমান। কেউ কখনো বৈষম্যের শিকার হয়নি ।
অন্যদিকে, নবী মোহাম্মদকে নিয়ে বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মার বক্তব্যের পরে পাথর ছোঁড়া এবং হট্টগোল প্রসঙ্গে ইয়ামিন সিদ্দিকী বলেছেন যে যোগী আদিত্যনাথ একটি ভাল সরকার চালাচ্ছেন। বিরোধীরা ষড়যন্ত্র করে তাকে হেয়, প্রতিপন্ন করতে পাথর নিক্ষেপ ও তাণ্ডব চালায়।