বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০১৭ সালে উত্তর প্রদেশে বিজেপির বাম্পার জয়ের পর যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। পদে বসার পর থেকেই রাজ্যকে অপরাধ মুক্ত করার লক্ষ্যে নেমে পড়েন যোগী। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৭ সালে যোগী আদিত্যনাথের সরকার গঠনের পর পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারে ১৩৯ জন অপরাধীর মৃত্যু হয়েছে আর ৩ হাজার ১৯৬ জন আহত হয়েছে। এই এনকাউন্টারগুলিতে ১৩ জন পুলিশকর্মী প্রাণ হারান আর ১ হাজার ১১২ জন আহত হন।
অপরাধ আর অপরাধীদের নিয়ে যোগী আদিত্যনাথ জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে বলার সময় উত্তর প্রদেশের মুখ্য সচিব অবনিশ কুমার অবস্থি বলেন, ‘রাজ্য সরকারের নির্দেশে কুখ্যাত অপরাধী, তাঁদের সহযোগী আর মাফিয়াদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ২০ মার্চ ২০১৭ থেকে এই বছরের জুন মাস পর্যন্ত পুলিশের এনকাউন্টারে ১৩৯ জন অপরাধীর মৃত্যু হয়েছে আর ৩ হাজার ১৯৬ জন আহত হয়েছে। এনকাউন্টারে আমাদের ১৩ জন পুলিশকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন আর ১ হাজার ১২২ জন আহত হয়েছেন।”
অবস্থি আরও বলেন, ‘রাজ্য সরকার অপরাধের প্রতি জিরো টলারেন্স নীতি আপন করেছে।” তিনি জানান, ‘উত্তর প্রদেশে গ্যাংস্টার অ্যাক্ট অনুযায়ী অপরাধীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়ে ১ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকার বেশী অবৈধ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৩২২ কোটি টাকা সম্পত্তি গত বছরের জানুয়ারি মাস থেকে এখনও পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত অথবা ধ্বস্ত করা হয়েছে।”
অবস্থি জানান, গ্যাংস্টার অ্যাক্ট অনুযায়ী গত চার বছরে ১৩ হাজার ৭০০-র বেশী মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর ৪৩ হাজারের বেশী অপরাধীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সবথেকে অধিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত বারাণসীতে হয়েছে, যেখানে সর্বাধিক ৪২০টি মামলা দায়ের অয়েহে আর ২০০ কোটি টাকারও বেশী সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গোরক্ষপুরে ২০৮টি মামলা দায়ের হয়েছে আর ২৬৪ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
অপরাধীদের প্রতি যোগী সরকারের কড়া মনোভাবের কারণেই উত্তর প্রদেশে আবারও শিল্প ফিরে এসেছে। অনেক বিদেশী কোম্পানিও যোগীরাজ্যে নতুন করে ইউনিট খুলছে, যার জেরে অনেক মানুষ কাজও পেয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার কারণে বিগত ৪ বছরে ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস” এর মামলায় তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র আর তেলেঙ্গানার মতো রাজ্যকে পিছনে ফেলে উত্তর প্রদেশে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে।