লক্ষ লক্ষ কৃষকের থেকে “PM কিষাণ”-এর টাকা ফেরত নেবে সরকার

বাংলা হান্ট ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প “PM কিষাণ”-কে কেন্দ্র করে এবার বড়সড় জালিয়াতি সামনে এল যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশে। মূলত, তদন্ত ও সঠিক যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে জানা গিয়েছে যে, সেখানে এখনও পর্যন্ত এমন ৩ লক্ষ ১৫ হাজার ১০ জন সুবিধাভোগী কৃষকের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে যারা আদৌ এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার যোগ্য নন।

এমতাবস্থায়, সংশ্লিষ্ট কৃষকদের কাছ থেকে পিএম কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পের টাকা ফেরত নিতে চলেছে সরকার। জানা গিয়েছে যে, ওই বিশাল সংখ্যক কৃষকদের মধ্যে অধিকাংশজনই আর্থিক ভাবে যথেষ্ট স্বচ্ছল। এমনকি, তাঁরা করও দিয়ে থাকেন। এমতাবস্থায়, সে রাজ্যের মুখ্যসচিব দুর্গাশঙ্কর মিশ্র সমস্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে বিষয়টি সঠিকভাবে পর্যালোচনা করার নির্দেশ দিয়েছেন।

মূলত, কেন্দ্রীয় সরকার আগামী ৩১ মে-এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী সম্মান নিধির সমস্ত সুবিধাভোগীদের eKYC করার নির্দেশ প্রদান করেছে। তবে, এখনও পর্যন্ত মাত্র ৫৩ শতাংশ সুবিধাভোগী eKYC করতে পেরেছেন। যদিও, এখন কৃষকরা নিজেরাই নির্ধারিত ফি পরিশোধ করার মাধ্যমে পিএম কিষাণের সংশ্লিষ্ট পোর্টাল বা কমন সার্ভিস সেন্টারে গিয়ে এই প্রয়োজনীয় eKYC করতে পারেন।

এদিকে, এই eKYC করা না হলে পরবর্তী ক্ষেত্রে কিস্তি পেতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে। যদিও, এই প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্য সচিব রাজস্ব ও কৃষি দফতরের একটি দল গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন। যে দলটি মূলত অবৈধ আধার, নামের অমিল এবং নতুন আবেদনের যাচাইকরণ প্রক্রিয়া আগামী ৩০ জুনের মধ্যে শেষ করবে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশে এখনও পর্যন্ত অন্তত একবার প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধির সুবিধা পেয়েছেন এমন কৃষকের সংখ্যা হল প্রায় ২.৫৫ কোটি। এদিকে, আবেদন এবং নথিভুক্ত আধার কার্ডের নামের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে অথবা আধার নম্বর ভুলভাবে ডেটাবেসে প্রবেশ করানো হয়েছে এমন কৃষকের সংখ্যা হল প্রায় ৬.১৮ লক্ষ।

MONEY IN HANDS

যার ফলে এই কৃষকরা পরবর্তীকালে আর এই প্রকল্পের আওতায় কোনও কিস্তির টাকা পাননি। যদিও, এই প্রসঙ্গে মুখ্যসচিব জানিয়েছেন যে, ইতিমধ্যেই কিছু যোগ্য কৃষকের নাম পুনরায় ডেটাবেসে আপডেট করা হয়েছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর