মাদ্রাসাতে ৯ বছরের কন্যাকে ধর্ষণ! মৃত ভেবে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে পালায় মৌলবি

বাংলা হান্ট ডেস্ক: যোগীরাজ্যে ফের নাবালিকাকে নির্যাতনের অভিযোগ। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মুজাফফরনগর জেলার একটি মাদ্রাসায় (Madrasa) নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল মৌলবীর বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে মুজাফফরনগরের বুধনা থানা এলাকায়। সেখানে সফিপুর পট্টি এলাকায় নূরজাহান মসজিদ রয়েছে। ওই মসজিদে একটি মাদ্রাসা চলে, যেখানে স্থানীয় মুসলিম (Muslim) সম্প্রদায়ের ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা শেখানো হয়। সেখানে শিশুদের ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব ছিল মৌলবী ইরফানের উপর।

ওই মাদ্রাসার ছাত্রী ছিল এলাকার ৯ বছর বয়সি এক নাবালিকা। প্রতিদিনের মতো শনিবারও ওই নাবালিকা সকাল ৯টা নাগাদ মাদ্রাসায় পড়তে যায়। কিন্তু সেই সময় অন্য কোনও ছাত্র-ছাত্রীরা সেখানে না আসায় একা পেয়ে ওই মৌলবী ইরফান (Irfan) মেঝে ঝাঁট দেওয়ার অজুহাতে ওই নাবালিকাকে ভিতরে ডেকে নেন। এরপর সেখানে তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।

তুমুল নির্যাতনের ফলে রক্তাক্ত অবস্থায় অচেতন হয়ে পড়ে ওই নাবালিকা। ওই মৌলবী ভেবেছিলেন সে মারা গিয়েছে। তাই ওই নাবালিকাকে নগ্ন (Nude) অবস্থাতেই মাদ্রাসায় ফেলে পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফেরে ওই নাবালিকার। এরপর সে তার বাড়িতে যায। গোটা ঘটনার কথা পরিবারের সদস্যদের জানায়। এরপরই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয় পরিবারের তরফে। অন্যদিকে, রক্তপাত (Bleeding) হতে থাকায় ওই নাবালিকার অবস্থার অবনতি হতে থাকায় প্রথমে তাকে স্থানীয় কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখান থেকে জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে মিরাটের মেডিক্যাল কলেজে ওই নাবালিকা ভর্তি রয়েছে।

madrasaa

ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারা এবং পকসো আইনে অভিযুক্ত ইরফানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পলাতক মৌলবীর খোঁজে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। বুধনার ডেপুটি এসপি যতীন্দ্র নগর অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়েছেন। মৌলবী ইরফানের ফাঁসির দাবি জানিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার।

Monojit

সম্পর্কিত খবর