বাংলা হান্ট ডেস্ক : দেশের অর্থনীতিকে পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। আর তেমন ভাবেই এদিকে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগি আদিত্যনাথ (Yogi Aditya Nath) জানান, তাঁর লক্ষ্য রাজ্যকে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পৌঁছে দেওয়া।
যোগি আদিত্যনাথ জানান, দেশের জিডিপিতে ) অবদান ৮ শতাংশের বেশি। সেই লক্ষ্য নিয়েই রাজ্যের অর্থনীতি আগামী ৫ বছরে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে নীতি আয়োগের অষ্টম পরিচালনা পরিষদের সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগি আদিত্যনাথ এ কথা বলেন।
যোগি আরও জানান, দেশের জিডিপিতে উত্তরপ্রদেশের অবদান ৮ শতাংশের বেশি। সেই লক্ষ্য নিয়েই রাজ্যের অর্থনীতি আগামী ৫ বছরে ১ ট্রিলিয়ম ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার সঙ্কল্প নিয়েছে। শনিবার নয়াদিল্লিতে নীতি আয়োগের অষ্টম পরিচালনা পরিষদের সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগি আদিত্যনাথ এ কথা বলেন।
যোগি প্রশাসন দেশের অর্থনীতির সঙ্গে তালমিলিয়েই এগোতে চাইছেন। আগামী পাঁচ বছরে তাই নতুন লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোচ্ছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। দিল্লির প্রগতি ময়দানে যোগি আদিত্যনাথ বলেন, তাঁর সরকার অর্থনীতিকে একটা পর্যায়ে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর। সেই কারণে এমএসএমই, মহিলাদের সুরক্ষা, পরিকাঠামো উন্নয়ন, প্রধানমন্ত্রীর গতি শক্তি, স্বাস্থ্য ও পুষ্টির ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে ধাপে ধাপে এইসব ক্ষেত্রকে উন্নীত করা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার ধীরে ধীরে সাফল্যের মাপকাঠি বাড়াতে তৎপর হয়েছে। তারা চাইছে সমাজের প্রতিটি অংশ যাতে উপকৃত হয়ে, সেই ব্যবস্থা করতে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদীর ‘সংস্কার, সম্পাদন এবং রূপান্তর’-এর মন্ত্র গ্রহণ করে উত্তরপ্রদেশের শিল্প বিনিয়োগের জন্য স্বপ্নের গন্তব্য হয়ে উঠেছে। ইউপি গ্লোবালে প্রায় ৩৫ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয়ে ২২ হাজারটিরও বেশি এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। ২০২৩-এর ফেব্রুয়ারিতে ইনভেস্টরস সামিটে নেওয়া সিদ্ধান্তে রাজ্যে এক কোটিরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে বলে জানিয়েছেন যোগি আদিত্যনাথ।
আদিত্যনাথ বলেন, উত্তরপ্রদেশে সর্বাধিক সংখ্যক এমএসএমই ইউনিট রয়েছে। ইউনিটের সংখ্যা ৯৬ লক্ষে পৌঁছে গিয়েছে। রাজ্য সরকার এমএসএমই সেক্টরের উন্নয়নের জন্য ক্রমাগত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা তা রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধও
রাজ্যের প্রতিটি জেলার ঐতিহ্যবাহী পণ্যের জন্য একটি স্বতন্ত্র পরিচয় তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। রাজ্য সরকার এই পণ্যগুলিকে এক জেলা-এক পণ্য ঘোষণা করে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার কাজ করেছে বলেও জানান উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগি আদিত্যনাথ।