বৈষ্ণব শিক্ষিকাকে মাদ্রাসায়, বাংলাভাষী শিক্ষিকাকে হিন্দি মিডিয়ামে! আজব বদলির নির্দেশ নবান্নের

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে শিক্ষা ব্যবস্থা চরম সংকটে। বদলির প্রতিবাদে, রাস্তায় বসে বিষপান করতে বাধ্য হচ্ছেন শিক্ষিকারা। শিক্ষামন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী কাউকে জানিয়েও কোন লাভ না হওয়ায়, শেষ পর্যন্ত এই ভয়ঙ্কর পথ বেছে নেন শিক্ষিকারা। কিন্তু তা সত্ত্বেও থামেনি বদলির নির্দেশ জারী। আবারও বদলির ফর্মান জারি করা হল ৪ শিক্ষিকার নামে। মেদিনীপুরের চার শিক্ষিকার বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মুশির্দাবাদ, বেলেডাঙ্গা, ধূপগুড়ি এবং বালুরঘাটে।

বেশকিছু দিন ধরে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের সদস্যরা। কখনও বেতন বৃদ্ধির দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন, আবার কখনও শিক্ষামন্ত্রীর নামে ‘মিসিং পোস্টার’ও দেওয়া হয়েছে বিকাশ ভবনের সামনে। আবার বদলির প্রতিবাদে সামিল হয়ে গত ২৪ শে আগস্ট বিকাশ ভবনের সামনে বিষপানও করেন ৫ জন শিক্ষিকা। আর এই ঘটনায় তুলকালাম শুরু হয়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে।

জানা গিয়েছে, বিষপানকারী ৫ শিক্ষিকার মধ্যে ৪ জনই ৬০ উর্দ্ধ। চাকরি জীবনের এই শেষ সময়ে এসে কেন তাদের এই পদক্ষেপ নিতে হল, তা নিয়েও উঠছে নানা প্রশ্ন। সূত্রের খবর, ষাটোর্ধ্ব অনিমা নাথ বৈষ্ণব ধর্মের হওয়ায়, তিনি আজীবন নিরামিষ আহার গ্রহন করেছেন। কোন দিন মাছ, মাংস ছুঁয়ে দেখেননি। সেই অনিমা নাথকেই কিনা বদলি করা হল হাই মাদাসায়! এই ঘটনায় আন্দোলনকারীদের দাবী, ‘সাম্প্রদায়িকতায় আঘাত এনেছে এমন সিদ্ধান্ত’।

আবার জিয়াগঞ্জের জৈনপুরের শিক্ষিকা ছবি চাকি দাস হাজারা, যিনি কিনা আজীবন ধরে বাংলা মিডিয়ামে পরাশুনা এবং শিক্ষকতা করে এসেছেন, তাকে বদলি করা হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার মাল ব্লকের হিন্দি মিডিয়াম শিক্ষাকেন্দ্রে! এই ঘটনার প্রতিবাদ করেই সেদিন বিষপানের মত কঠিন পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হন অনিমা নাথ, শিখা দাস, জোৎস্না টুডু, পুতুল মণ্ডল ও ছবি দাস হাজরারা।

X