বাংলা হান্ট ডেস্ক : চলছে ভ্যালেন্টাইন উইক। প্রত্যেক প্রেমিক-প্রেমিকা নিজেদের মনের মানুষের সাথে এই কটা দিন একটু অন্যরকম ভাবে কাটাতে চান। কিন্তু এই প্রেমের সপ্তাহে এক যুবক আবিস্কার করলেন তার প্রেমিকার ধোঁকাবাজির কথা। জানতে পারলেন তার প্রেমিকা মহিলা নয়, একজন পুরুষ! যখন তিনি এই কথা জানতে পারলেন ততক্ষণে তার নকল প্রেমিকা হাজার হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দেওয়ার মতলব এঁটেছে। অবশেষে পুলিশ এই নকল প্রেমিকাকে আটক করেছে।
চন্দ্রকোনার এক মহিলার সাথে কিছুদিন আগে ফেসবুকে আলাপ হয় দাসপুরের এক যুবকের। ফেসবুকে কথার পর তাদের মধ্যে আদান-প্রদান হয় ফোন নম্বর। তাদের প্রেমের রসায়ন কয়েক দিনের মধ্যেই জমে ওঠে। ফোনেই হয় প্রেম নিবেদন। এরপরই সেই প্রেমিকা যুবকের কাছ থেকে চেয়ে বসেন টাকা। প্রেমে অন্ধ হয়ে দাসপুরের ওই যুবক ওই মহিলাকে ধাপে ধাপে 90000 টাকা পর্যন্ত দেন।
তবে ওই প্রেমিকাকে দেখা করার কথা বলতেই উল্টে যায় গেম। দাসপুরের ওই যুবক সেই সময় শুনতে পান প্রেমিকার ফোন থেকে আসছে পুরুষের কণ্ঠস্বর। দাসপুরের ওই যুবককে চন্দ্রকোনার মহিলা বলেছিলেন যে তার ভাই ব্রাইডাল মেকাপের কাজ করেন। এরপর যুবকটি কনে সাজানোর নাম করে প্রেমিকার ভাইকে ডেকে নিয়ে আসেন দাসপুরে। চন্দ্রকোনার শঙ্খ মণ্ডল নামে ওই যুবক দাসপুরে দাঁড়িয়ে দিদির কথা বলতে গিয়ে হোঁচট খান।
যুবক জানতে পারেন, শঙ্খ নামের এই তরুণটি ফেসবুকে সুস্মিতা নামে একটি ফেক অ্যাকাউন্ট তৈরি করে। সেই তার সাথে মেয়েদের মতো গলা নকল করে কথা বলতো। দাসপুরের এই যুবক শঙ্খর মুখ থেকে এই কথা শুনে রীতিমতো ভেঙে পড়েছিলেন। এরপর তিনি শঙ্খকে তুলে দেন দাসপুর থানার পুলিশের হাতে।
শঙ্খকে গ্রেপ্তার না করলেও পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এর সাথে আরো কোন বড় চক্র জড়িত কিনা সেদিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে ভ্যালেন্টাইন্স ডে এর আগে এই ধরনের ঘটনায় যুবক রীতিমতো ভেঙে পড়েছেন। তিনি বলেছেন, “ওই ছেলেটি আমার থেকে ঠকিয়ে ৯০ হাজার টাকা নিয়েছে।” অন্যদিকে, শঙ্খ বলেছেন, “আমার ওর সঙ্গে (দাসপুরের প্রেমিক)-এমনই কথা হয়েছিল।”