বাংলা হান্ট ডেস্ক : টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় এবং চর্চিত সেলিব্রেটি জুটি হলেন রাজা গোস্বামী (Raja Goswami) এবং মধুবনী গোস্বামী (Madhubani Goswami)। দর্শকপ্রিয় চ্যানেল স্টার জলসার (Star Jalsha) পর্দায় শুরু হয়েছিল তাদের পথচলা। ‘ভালোবাসা ডটকম’-এর (Valobasa Dot Kom) হাত ধরেই এই মিষ্টি জুটির পর্দার প্রেম গড়িয়েছে বাস্তবে। এই সিরিয়ালের ওম-তোড়াকে আজও ভুলতে পারেনি মানুষ।
এরপর একটা লম্বা সময় ধরে বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছেন তারা। একসাথে অভিনয় না করলেও আলাদা আলাদা চ্যানেলে অভিনয় করেছেন রাজা-মধুবনী। এরপর একবার একসাথে ধরা দেন স্টার জলসার ‘ইসমার্ট জোড়ি’র মঞ্চে। সেখানেই তাদের ব্যক্তিগত জীবনের অনেক খুঁটিনাটি বেরিয়ে আসে ভক্তদের সামনে। আজ পরকীয়া আর ডিভোর্সের যুগে তাদের প্রেম, বিয়ে, সংসার সবটাই বড্ড আকর্ষণীয়।
তারপর থেকেই এই জুটিকে একসাথে দেখার জন্য মরিয়া হয়েছিল ভক্তরা। নেটিজনদের একাংশের দাবি ছিল, আবারও রাজা, মধুবনীকে একসাথে কাস্ট করা হোক। যদিও এতদিন কোনও চ্যানেলের তরফ থেকেই এই বিষয়ে বিশেষ আগ্রহ দেখানো হয়নি। তবে এবার বোধহয় দর্শকদের সেই ইচ্ছা পূরণ হওয়ার পালা। আবারও একসাথে স্ক্রিন শেয়ার করলেন এই তারকা জুটি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিয়ের পর থেকেই লাইট ক্যামেরা অ্যাকশনের দুনিয়া থেকে খানিক দূরত্ব বাড়িয়েছিলেন মধুবনী। আর ছেলে কেশব হওয়ায় পর তো লম্বা সময়ের বিরতি। তবে এবার আবারও একটু একটু করে পর্দায় ফিরছেন নায়িকা। সান বাংলার নতুন সিরিয়াল ‘শ্যামা’তে মা কালীর চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। তবে এবার ফিরলেন স্বামীর সাথেই।
আরও পড়ুন : বিয়ের ৮ মাসেই অন্তঃসত্ত্বা! সুখবর দিলেন মোহর, বাবা হতে চলেছেন দুর্নিবার
View this post on Instagram
যদিও এটা কোনও সিরিয়াল নয়। বরং রাজা-মধুবনীকে দেখা গেছে জি বাংলায় দিদি নাম্বার ওয়ানের (Didi No 1) মহালয়া স্পেশাল পর্বে। রচনা ব্যানার্জি সঞ্চালিত এই শো-তে এসে রীতিমত ধামাকা করেছেন তারকা দম্পতি। অনুষ্ঠানে আসামাত্রই রাজার উদ্দেশ্যে রচনার প্রশ্ন ছিল, এত রোগা হয়ে গেলেন কি করে? জবাবে রাজা যা বললেন তা শোনার জন্য প্রস্তত ছিলনা কেউই।
আরও পড়ুন : সাবিত্রী চট্টপাধ্যায়ের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করছেন নন্দিনী! ফাঁস হল নতুন সিনেমার ছবি
সঞ্চালিকার কথার জবাবে রাজ বলেন, আসলে এবারের পুজায় মধুবনী এতগুলো শাড়ি কিনেছে যা বইতে বইতেই নাকি তিনি রোগা হয়ে গিয়েছেন। অভিনেতার মুখে এই কথা শুনে হাসিতে ফেটে পড়ল গোটা স্টেজ। সঞ্চালিকা রচনার মুখের হাসি ধরে কে! আসলে পুজোর আগে অভিনেতার নয়া লুক দেখেই এই প্রশ্নটা করেছিলেন রচনা। তার যে এমন উত্তর আসতে পারে সেকথা তিনি ভাবতেও পারেননি।