বন্দে ভারতে উঠে সেলফি নিতে গিয়েই বিপত্তি! ট্রেনের দরজা বন্ধ হওয়ায় মহা ফাঁপড়ে পড়লেন বিনা টিকিটের যাত্রী

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে আমাদের দেশের সবথেকে আলোচিত ট্রেন হল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express)। প্রায় প্রতিদিনই খবরের শিরোনামে থাকে এই ট্রেন। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, আমাদের দেশে প্রথম বন্দে ভারত ট্রেনের পথচলা শুরু হয়েছিল। তখন থেকেই এই ট্রেনকে ঘিরে যাত্রীদের মধ্যে তুমুল উন্মাদনা পরিলক্ষিত হয়েছে। পাশাপাশি, এই ট্রেন সম্পর্কিত একাধিক ভিডিও ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)।

শুধু তাই নয়, এই ট্রেনের সাথে একটি ছবি অথবা সেলফি তোলার জন্যও সকলের মধ্যে একটা বাড়তি আগ্রহ রয়েছে। তবে, এবার বন্দে ভারতে চেপে সেলফি তুলতে গিয়েই চরম বিপত্তিতে পড়লেন এক ব্যক্তি। শুধু তাই নয়, ওই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নেটমাধ্যম। যা দেখে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটিজেনরা।

উল্লেখ্য যে, চলতি মাসের ১৫ তারিখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেকেন্দ্রাবাদ এবং বিশাখাপত্তনমের মধ্যে দেশের অষ্টম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু করেন। এদিকে, তার ঠিক একদিন পরেই ট্রেনটি যখন রাজামুন্দ্রি স্টেশনে আসে তখন একজন ব্যক্তি সেলফি তোলার জন্য ট্রেনটিতে উঠে পড়েন। এদিকে, কিছুক্ষণের মধ্যেই চলতে শুরু করে ট্রেনটি। পাশাপাশি, বন্ধ হয়ে যায় স্বয়ংক্রিয় দরজাও। যার ফলে ট্রেনের মধ্যেই আটকে পড়েন ওই ব্যক্তি। পাশাপাশি, প্রায় ১৫০ কিলোমিটার যাবৎ পাড়ি দিতে হয় তাঁকে।

মূলত, রাজামুন্দ্রি থেকে বিজয়ওয়াড়ার দূরত্ব হল প্রায় ১৫০ কিলোমিটার। ওই ট্রেন বিজয়ওয়াড়ার আগে আর দাঁড়াতনা। সেই কারণেই ওই ব্যক্তিকেও বাধ্য হয়ে সফর করতে হয় ওই বিশাল দূরত্ব। এদিকে, ইতিমধ্যেই এই ভিডিওটি নেটমাধ্যম দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। যেখানে ওই ব্যক্তিটিকে এবং টিকিট পরীক্ষককে দেখা গিয়েছে। সেখানেই টিকিট পরীক্ষক জানিয়ে দেন ট্রেনটি বিজয়ওয়াড়ার আগে আর থামবে না। এদিকে, দ্য হিন্দুর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, একজন RPF আধিকারিক জানান, “সবাই বন্দে ভারতকে দেখার জন্য স্টেশনে আসে এবং ছবি তোলার জন্য ট্রেনেও ওঠে। দয়া করে এটা করবেন না।”

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওয়াল্টেয়ারের ডিআরএম অনুপ সৎপতি জানান, ওই ব্যক্তিকে প্রথমে বোঝানো হয় এবং পরে কোনো জরিমানা ছাড়াই ছেড়ে দেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, এই ট্রেনটি তেলেঙ্গানার সেকেন্দ্রাবাদ থেকে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমের মধ্যে চলে। পাশাপাশি, ট্রেনটি ৮ ঘন্টায় প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে। ওই সফরকালে ট্রেনটি শুধুমাত্র ওয়ারঙ্গল, খাম্মাম, বিজয়ওয়াড়া এবং রাজামুন্দ্রিতে দাঁড়ায়।

Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

X